শনিবার সকালেও হল বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে অবস্থান উঠল দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) গেট থেকে। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেও শংসাপত্র না মেলা ও প্রায় দু’মাস ধরে কলেজ বন্ধের প্রতিবাদে তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান এনআইটি-তে শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন মালদহের গনি খান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া।
ছাত্ররা জানান, তাঁদের কলেজের রাজ্য টেকনিক্যাল কাউন্সিলের অনুমোদন রয়েছে। পরে এনআইটি-র তত্ত্বাবধানে সেখানে বি-টেক কোর্স শুরু হলেও তার অনুমোদন দেয়নি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন। এই পরিস্থিতিতে ওই কলেজের বি-টেক প্রথম ব্যাচের প্রায় ৮০ জন পড়ুয়া পড়াশোনা শেষ করেও তাঁরা শংসাপত্র পাননি। অন্য দিকে, গত ৭ ডিসেম্বর ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে’ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজটি বন্ধ করে দেয় এনআইটি।
এর পরেই বৃহস্পতিবার ৩০ জন পড়ুয়া মালদহ থেকে দুর্গাপুরে এসে এনআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাতেও সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় শুরু হয় বিক্ষোভ। শনিবার বিক্ষোভকারীদের দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বিক্ষোভকারীদের জানান, এনআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁর কথা হয়েছে। এনআইটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। মঙ্গলবার থেকে ওই কলেজের ক্লাসও শুরু হবে। এর পরেই অবস্থান তুলে নেন ছাত্ররা।