কাঁকসায় শুরু স্ট্রবেরি চাষ

পরীক্ষামূলক ভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করল কাঁকসা ব্লক প্রশাসন। ব্লক অফিস চত্বরেই আপাতত চারশো স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রশাসন জানায়, গ্রিন হাউস তৈরি করে স্ট্রবেরি চাষ হবে। ভবিষ্যতে এখান থেকে চাষিদের চারা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:০০
Share:

চলছে স্ট্রবেরি চারা রোপণ। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষামূলক ভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করল কাঁকসা ব্লক প্রশাসন। ব্লক অফিস চত্বরেই আপাতত চারশো স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রশাসন জানায়, গ্রিন হাউস তৈরি করে স্ট্রবেরি চাষ হবে। ভবিষ্যতে এখান থেকে চাষিদের চারা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

স্ট্রবেরি রসালো, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। স্ট্রবেরি গাছ দেখতে অনেকটা আলু গাছের মতো। তবে পাতা আকারে বড়। শিকড়ের গাঁট থেকে লতার মতো শাখা ছড়াতে থাকে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তা কেটে আলাদা করে চারা হিসাবে লাগিয়ে চাষ করা যায়। যদিও এখন বীজও পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি মূলত শীতপ্রধান এলাকার ফল। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বিশেষ করে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। স্ট্রবেরি ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকলে টকটকে লাল রঙের হয়।

ব্লক প্রশাসনের কর্তারা জানান, এই ফলের চাহিদা যথেষ্টই রয়েছে। মরসুমের শুরুর দিকে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে পরের দিকে এর দাম পড়তে থাকে।

Advertisement

কিন্তু এই চাষের উদ্যোগ কেন? ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাধারণত চাষিদের একটা বড় অংশই প্রচলিত ধান, গম, আলু চাষের বাইরে যেতে চান না। রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে নানা ভাবে বিকল্প চাষে জোর দিচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের দাবি, জেলার অন্যতম কৃষিপ্রধান এলাকা এই ব্লকে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতে এখানে বিভিন্ন আনাজ, গোলাপফুল চাষের বিষয়েও পদক্ষেপ করা হয়। এ বার একশো দিনের প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ভাবে স্ট্রবেরি চাষের বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

এর জন্য ব্লক অফিস চত্বরে গ্রিন হাউস তৈরি করে তার ভিতরে খেত প্রস্তুত করা হয়। বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য নিজের হাতে চারা লাগিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আপাতত চারশোটি চারা রোপণ করা হয়েছে। স্বয়ম্ভরগোষ্ঠীর হাতে পরিচর্যার ভার তুলে দেওয়া হবে। প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৭৫ হাজার টাকা। ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত প্রকল্পটি রূপায়ণ করেছে। ভবিষ্যতে এটি চাষিদের কাছে প্রদর্শন-খেত হিসাবে তুলে ধরা হবে। কী ভাবে চাষ হচ্ছে তা হাতেকলমে দেখার সুযোগ পাবেন তাঁরা। এমনকি, চাষের খরচ বাঁচাতে স্ট্রবেরির চারাও এখানে তৈরি করার ব্যবস্থা থাকবে। তা তুলে দেওয়া হবে উৎসাহী চাষিদের হাতে।

কেন স্ট্রবেরি চাষের পদক্ষেপ করা হল কাঁকসায়? বিডিও জানান, দুর্গাপুর ও লাগোয়া এলাকায় স্ট্রবেরির বাজার রয়েছে। বিভিন্ন শপিং মলে স্ট্রবেরি বিক্রি করা হয়। বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। সেখানে কাঁকসায় স্ট্রবেরি চাষ করা গেলে সহজেই বিক্রির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। প্রচলিত চাষাবাদের থেকে চাষিরা স্ট্রবেরি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হবেন। বিডিও বলেন, ‘‘এটা আসলে পাইলট প্রজেক্ট। স্ট্রবেরির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা আশাবাদী। চাষিরা স্ট্রবেরি চাষে এগিয়ে আসবেন এবং লাভবান হবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement