Murder

টালি খুলে ঘরে ঢুকে খুন প্রৌঢ়াকে, আসানসোলের ঘটনায় সন্দেহের তির মৃতের ছোট জামাইয়ের দিকে

মৃত মহিলার নাম শ্যামলী কর্মকার। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৪১
Share:
Son in law allegedly killed mother in law at Asansol

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

টালির চাল ভেঙে ঘরে ঢুকে মহিলার গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার লালগঞ্জ গ্রামের শ্রীরামপুর এলাকায়। মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মৃত মহিলার ছোট জামাই এবং ছোট মেয়ের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম শ্যামলী কর্মকার (৫০)। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। ঘরের টালির চাল ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। মনে করা হচ্ছে টালির চাল সরিয়েই আততায়ী শ্যামলীর গলা কেটে খুন করেছে। এ নিয়ে মৃতের ছোট জামাই সদানন্দ মাঝির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর বড়় মেয়ে মাম্পি কর্মকার। তাঁর দাবি, ‘‘আমার ছোট বোন বৈশাখী বিয়ের কিছু দিন পর পড়াশোনার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। ওকে বার বার ফিরে যাওয়ার কথা বলত বৈশাখীর স্বামী সদানন্দ। তাতে বাধা দেওয়াতেই ও আমার মাকে খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে।’’ ওই ঘটনার পর থেকে বৈশাখী এবং সদানন্দ কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

মঙ্গলবার আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এর আগেও সদানন্দ শ্যামলীর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সে বার তিনি জখম হয়ে ছিলেন হাসপাতালে। তার বছর খানেকের মধ্যেই খুন হলেন তিনি। এ নিয়ে আসাসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ সোনেওয়ান বলেন, ‘‘মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে কী ঘটনা ঘটেছিল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement