Tantuja

Sharee: এক দিনেই প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার শাড়ি বিক্রি ‘তন্তুজ’-কে

‘তন্তুজ’ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৮০টি। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে তন্তুজ ৪০৭.৬৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২ ০৭:১৭
Share:

শাড়ি কেনা দেখছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র।

পুজোর আগে নানা রকম শাড়িতে শোরুম ভরিয়ে তুলতে শনিবার কালনার ধাত্রীগ্রামের তাঁতহাটে শিবির করে শাড়ি কিনল ‘তন্তুজ’। সূত্রের খবর, শিবিরে ২৫ লক্ষ টাকার শাড়ি কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ দিন তাঁতিরা ১৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১০ টাকার ১৯১৩টি শাড়ি বিক্রি করেন। তার মধ্যে ৩০০ তসরের শাড়ি।

Advertisement

‘তন্তুজ’ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৮০টি। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে তন্তুজ ৪০৭.৬৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। লাভ করেছে ২০.৩৫ কোটি টাকা। এ বার পুজোর কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন ‘প্রাইমারি উইভার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি’-কে বরাত দেওয়া হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শাড়ি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। পাশাপাশি, সরাসরি তাঁতিদের থেকেও শিবির করে শাড়ি কেনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার, নদিয়া, গঙ্গারামপুর এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে শিবির করে ১ কোটি ২০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার শাড়ি কেনা হয়েছে। ১৬ জুলাই হুগলির ধনেখালিতে তাঁতিদের কাছে শাড়ি কেনা হবে। সেখানে হাওড়া ও হুগলি জেলার তাঁতিদের ডাকা হবে।

শিবিরে এ দিন হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তন্তুজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শিঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, সহকারী প্রকিওরমেন্ট অফিসার অপর্ণা রায়-সহ বেশ কয়েক জন আধিকারিক। শিবিরে তাঁতিদের জানানো হয়, শাড়ি হতে হবে ৪৬ ইঞ্চি চওড়া এবং সাড়ে পাঁচ মিটার লম্বা। রং-সহ গুণগত মানও ভাল চাই। পলিয়েস্টার-সহ শাড়িতে কৃত্রিম সুতো ব্যবহার করলে তা নেওয়া হবে না। তসরের শাড়িতে অন্য সুতোর মিশেল রয়েছে বলে এ দিন বেশ কিছু শাড়ি বাতিলও করা হয়। ১,৪০০-২,১০০ টাকায় বিভিন্ন শাড়ি কেনা হয়। ‘তন্তুজ’-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার বলেন, ‘‘ক্রেতাদের মনে ধরবে এমন রং, নকশা দেখে শাড়ি কেনা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, ক্রেতাদের পছন্দ সম্পর্কে ধারণা দিতে নকশা-সহ নানা ভাবে তাঁতিদের সাহায্য করে ‘তন্তুজ’।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে পুজোর বাজারে ‘কন্যাশ্রী’, ‘আলোছায়া’ প্রভৃতি নতুন শাড়ি তৈরি করেছে তন্তুজ। এ বার দুর্গাপুজো কার্নিভালের দৃশ্য শাড়িতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সে কাজ শুরু করার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, যে ভাবে নতুন নতুন নকশার শাড়ি শিবির করে এবং তাঁত সমবায়গুলি থেকে কেনা হচ্ছে, তাতে এ বার ভাল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে ‘তন্তুজ’-এর প্রতিটি বিপণন কেন্দ্রে। এ বার মুম্বইয়েও ‘তন্তুজ’-এর একটি শাখা খোলার চেষ্টা হচ্ছে। ধাত্রীগ্রাম তাঁত-কাপড়ের হাটের কাছাকাছি একটি ক্লাস্টারে তাঁতের প্রশিক্ষণ ঘুরেদেখেন মন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement