চরখি বাঁধের উপরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আড়াই ঘণ্টা পথ অবরোধ করল স্কুল পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্বেশ্বর গ্রামের চরখি বাঁধের উপরে রাস্তায় বসে পড়ে দু’টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ছিলেন অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দারাও।
প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়াদের প্রশ্ন, কোন পথে স্কুলে যাবে তারা। অবরোধের জেরে কাটোয়া-কেতুগ্রাম রাস্তায় দীর্ঘ যানজট হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কেতুগ্রাম ২-এর বিডিও অমিতকুমার সাউ চরখি থেকে বিল্বেশ্বর স্কুল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে পরিদর্শন করেন। তাঁর কাছ থেকে রাস্তা সংস্কারের লিখিত প্রতিশ্রুতিও আদায় করে পড়ুয়ারা। দুপুরের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিডিও বলেন, ‘‘চরখি থেকে বিল্বেশ্বর বাঁধের উপরের ওই রাস্তা শীঘ্রই করা হবে। যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। আমি পড়ুয়াদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে রাস্তা পরিদর্শন করেছি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্বেশ্বর বয়েজ ও গার্লস স্কুলের কয়েকশো পড়ুয়া বোলপুর-কাটোয়া রোডে সকাল থেকেই অবরোধ শুরু করে। তাদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। বাসিন্দারা জানান, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের চরখি গ্রাম থেকে বিল্বেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার মূল রাস্তা অজয়ের বাঁধের উপর দিয়ে৷ গত বছর বন্যায় কেতুগ্রাম এলাকার ওই বাঁধ ভেঙে যায়। পরে সেটি সংস্কার করে সেচ দফতর। কিন্তু বাঁধের উপরের রাস্তা সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ। বর্ষায় মাটির রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পড়ুয়াদের দাবি, প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে তারা। কারও হাত ভাঙছে। কেউ সাইকেল নিয়ে যেতে গিয়ে পড়েপা ভাঙছে।
দিশা মণ্ডল, দেবিকা চট্টোপাধ্যায়, অক্ষয় মণ্ডলেরা বলে, ‘‘এ ভাবে আর স্কুলে যেতে পারছি না। অবিলম্বে ওই রাস্তা সংস্কার করে দিতে হবে। ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল ছাড়াও, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পঞ্চায়েতে যেতে হয়। আমরা বার বার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাতেও কোনও কাজ হয়নি।’’ কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের দাবি, ‘‘ওই রাস্তা যাতে শীঘ্রই মেরামত করা যায় তার ব্যাবস্থা করা হবে।’’