মাধ্যমিকের ছাত্রীরা। ফাইল চিত্র।
সরকারি নির্দেশে স্কুলে প্রায় দু’মাসের গরমের ছুটি চলছে। এরই মধ্যে আজ, মঙ্গলবার প্রকাশিত হতে চলেছে মাধ্যমিকের ফল। এর পরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া কী ভাবে চালানো হবে, সে নিয়ে ধন্দে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি কী হবে, নতুন কোনও নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত সে প্রশ্নের উত্তর নেই তাঁদের কাছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর জন্য ৩ ও ৪ মে স্কুলে ছুটি ছিল। ৫ মে ছিল রবিবার। গরমের কারণে ৬ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে সিলেবাস শেষ হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক, পড়ুয়ারা। সে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনও চলছে। কিছু শিক্ষক আবার পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবে অলিখিত ভাবে পঠনপাঠন চালু রেখেছেন বলে নানা সূত্রের খবর।
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল জানান, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্কুল খোলা রাখা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, আজ, মঙ্গলবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। এর পরে শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া। তাঁদের আশঙ্কা, সরকারি নির্দেশ থাকায় শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে অনীহা দেখাতে পারেন। সেক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের ভর্তি প্রক্রিয়া একা প্রধান শিক্ষকের পক্ষে কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা বলেন, ‘‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আমরা স্কুলে আসব। কিন্তু বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষাকর্মীর অভাব রয়েছে। অনেক কাজ শিক্ষকেরা সামলে দেন। কিন্তু শিক্ষকেরা এখন আসতে না চাইলে জোর করা যাবে না। সমস্যা কী ভাবে মিটবে জানি না!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তাঁরা আরও জানান, অন্য বার গরমের ছুটি দেওয়া হয় স্কুল থেকে। তাই ছুটির মাঝে মাধ্যমিকের ফল বেরোলেও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা প্রয়োজন মতো স্কুলে আসেন। একাদশ শ্রেণির ভর্তির প্রক্রিয়াতেও তাঁরা সাহায্য করেন। নানা বিভাগে ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী পড়ুয়াদের পরামর্শও দেন। এ ছাড়া কোনও পড়ুয়া অন্য স্কুলে গেলে ট্রান্সফার সার্টিফিকেটও দিতে হয়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে সব কাজ সামলে নেন তাঁরা। এ বার শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে গরমের ছুটি দেওয়ার পরে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে আসতে রাজি না হলে কোনও উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন প্রধান শিক্ষকদের অনেকেই।
জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয়বাবু বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন স্কুলে প্রধান শিক্ষক আসবেন। অফিস খোলা থাকবে।’’ কিন্তু একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া কী ভাবে সম্পন্ন হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি স্কুল পরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে যেমন নির্দেশ আসবে সে ভাবে কাজ হবে।’’