Asansol

আসানসোলে শশীর তোপে আয়োজকেরা

দুপুরে রাজ্যের তিন মন্ত্রী শশী, বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূলের হিন্দি প্রকোষ্ঠের নেতা বিবেক গুপ্ত ও যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষদের নিয়ে ২৬টি গাড়ির কনভয় পৌঁছয় কাল্লায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৪১
Share:

আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙালে এক মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙালে তিন জনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল ফের আয়োজক তথা বিজেপি নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলল। রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে। প্রতিনিধি দলের সামনে আয়োজকেরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ করে এক জন মৃতের পরিবার। তবে, যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল তা মানেনি।

Advertisement

দুপুরে রাজ্যের তিন মন্ত্রী শশী, বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূলের হিন্দি প্রকোষ্ঠের নেতা বিবেক গুপ্ত ও যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষদের নিয়ে ২৬টি গাড়ির কনভয় পৌঁছয় কাল্লায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত ঝালি বাউড়ির ছেলে সুখেন ও পুত্রবধূ পূর্ণিমার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সুখেন সরকারি সাহায্য পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানান। সে সঙ্গে ফের চাকরির দাবিও জানান। এর পরে প্রতিনিধি দলটি রামকৃষ্ণডাঙালেএসে মৃত চাঁদমণি যাদব এবং প্রীতি সিংহের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে। শশীকে সামনে পেয়ে চাঁদমণির ছেলে অশোক দাবি করেন, “দুর্ঘটনার পরে উদ্যোক্তাদের কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আপনারা পাশে থেকেছেন। ধন্যবাদ।”

পরিদর্শন শেষে বিজেপিকে তোপ দাগেন শশী। এই দুর্ঘটনাকে গুজরাতের মোরবী সেতু-দুর্ঘটনার সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। পাশাপাশি, বলেন, “বেআইনি কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। দুর্ঘটনায় মৃতদের পাশে না থেকে বিজেপির নেতারা টুইট করেছেন শুধু। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সেদিন সব দলীয় কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতায় না ফিরে দুর্গতদের পাশে থাকা উচিত ছিল। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা ঘটনার দিন থেকেই পরিবারগুলির পাশেথেকেছেন।” বাবুল অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ‘অমানবিক’ বলে তোপ দাগেন। সে সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা দাবি করেন, আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ রেহাই পাবেন না। পাশাপাশি, শশী এবং বাবুল, দু’জনেই অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানটি যেখানে হয়েছিল, সেই মাঠটি অত্যন্ত ছোট। পাঁচশোর বেশি লোক ধরার কথা নয়। অথচ সেখানে পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দেওয়ার জন্য ডাকা হয়।

Advertisement

এ দিকে, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র দাবি করেন, “আমাদের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্ঘটনার নেপথ্যেতৃণমূলের বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।” যদিও, জিতেন্দ্রের এই দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদকভি শিবদাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement