পরিবারের সঙ্গে পর্ণশ্রী দাস। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে কাটল উৎকণ্ঠা। আশঙ্কার দোলাচলে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নানা পথ ঘুরে সোমবার নিজের বাড়িতে ফিরলেন পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ার তরুণী বছর বাইশের পর্ণশ্রী দাস। মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি দাস পরিবারের সদস্যেরা।
ইউক্রেনের টারনোপিল শহরে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন অন্ডালের উখড়ার সুভাষপাড়ার বাসিন্দা পর্ণশ্রী। ২০১৯ সালে তিনি ভর্তি হন টারনোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে। এত দিন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু আচমকা বিপদ ডেকে আনল রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ। টারনোপিলে যুদ্ধের আঁচ লাগেনি এখনও। কিন্তু যুদ্ধের একের পর এক ভয়াবহ চিত্র উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছিল দাস পরিবারে। কারণ, পরিবারের বড় মেয়ে পর্ণশ্রী আটকে পড়েছে সেই দেশে।
সোমবার অন্ডাল বিমানবন্দরে পর্ণশ্রী নামতেই উৎকণ্ঠার সেই পরিবেশ মুহূর্তে কেটে গিয়েছে। পর্ণশ্রীর বাবা নরেশ দাস পেশায় ব্যবসায়ী। এ ছাড়া পরিবারে রয়েছেন মা মৌসুমি দাস এবং ছোট বোন মানসী। ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন পর্ণশ্রী। তাঁর কথায়, ‘‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার খবর পেয়ে আমরা ইউক্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলাম। সুযোগও চলে আসে। আমরা রোমানিয়া সীমান্ত পর্যন্ত বাসে পৌঁছেছিলাম। সেখান থেকে নয়াদিল্লির বিমান ধরি। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা আমাদের সাহায্য করেছেন।’’
মেয়ে ফিরে আসায় খুশি নরেশ। তাঁর কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধ হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জেনে আশঙ্কায় ছিলাম। তবে সত্যি সত্যি যে যুদ্ধ লেগে যাবে এটা আশা করিনি। আমরা সকলে ভীষণ উদ্বেগে ছিলাম। ও ফিরে আসায় আমরা খুশি।’’ পর্ণশ্রীর মায়ের বক্তব্য, ‘‘ওখানে থাকাকালীন বেশ কয়েক বার মেয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল। ও যে শহরে ছিল, সেখানে যুদ্ধের আঁচ লাগেনি বলেও জানিয়েছিল। তবে বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত দুশ্চিন্তা কিছুতেই কাটছিল না।’’