—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যুতে বর্ধমান সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। মৃত বন্দির নাম হাতেম আলি মণ্ডল (৮৩)। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার ভাগড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। সোমবার ওই বন্দির মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
পুলিশ এবং সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের একটি মামলায় কালনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হাতেম আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে হাতেম আলি বর্ধমান সংশোধনাগারে ছিলেন। রবিবার গভীর রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ভর্তি না করিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহির্বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেন ওই বন্দিকে। কিন্তু সোমবার সকালে সংশোধনাগারের ভিতরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন হাতেম আলি। তার পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইতিমধ্যে বন্দিমৃত্যু নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ জানান, রবিবার রাত ১টা নাগাদ ওই বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন রোগীকে ভর্তি করানোর মতো অবস্থা ছিল না। পরবর্তীকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মেলার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। যদিও মৃত্যুর ঘটনায় কোনও অভিযোগ এখনও জানানো হয়নি।