কাটোয়ার আবাসনপল্লিতে পথে। নিজস্ব চিত্র
টানা বৃষ্টি হলে কাটোয়া শহরের একাংশে রাস্তার পাশের নর্দমাও জলের তলায় চলে যায়। নালা ও রাস্তা আলাদা করা যায় না। নালায় পড়ে কলকাতার এক সাফাইকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই দুর্ঘটনা এড়াতে কাটোয়া শহরে ওই নালাগুলি ঢেকে দেওয়ার দাবি তুললেন বাসিন্দারা। টানা কিছু ক্ষণ বৃষ্টি হলেই কাটোয়া শহরের নানা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পুর-কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। শহরের নানা প্রান্ত থেকে জল ছোট নালা দিয়ে বড় নিকাশি নালায় পড়ে। বড় নালার জল মেশে ভাগীরথীতে। শহরের এক দিকে ভাগীরথী। অন্য দিকে অজয় নদ। শহর অনেকটা গামলার মতো। প্রথম থেকেই শহরে নিকাশি ব্যবস্থা তেমন উন্নত নয়। গত ১৫ বছরে শহরে অনেক পুকুর ও জলাশয় বোজানো হয়েছে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের।
বৃষ্টি বেশি হলেই শহরের কারবালাতলা, সাহেববাগান, সার্কাস ময়দান, কেডি স্কুল মোড়, মাধবীতলা, ঘোষহাটে নালা উপচে জল রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। ওই সমস্থ এলাকায় বড় বড় নিকাশি নালা রয়েছে।কারবালাতলার বাসিন্দা কল্যাণ মালাকার বলেন, “আমাদের পাড়ায় ‘সম্প্রীতির শহর’ পার্কের গা ঘেঁষে রয়েছে ‘ইউ’ আকারের বড় নালা। বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। পার্কে বহু মানুষ ও শিশুদের আনাগোনা লেগে থাকে। রাস্তায় জল জমলে এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে ওঠে। একটু অসতর্ক হলেই নালায় পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নালাগুলি ঢেকে দিলে ভাল হয়।” সাহেববাগানের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের পাড়ায় বিবেকানন্দ মূর্তির সামনে থেকে রামকৃষ্ণ স্কুল অভিমুখী রাস্তার পাশের নিকাশি নালাটি বেশ গভীর। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল জমে যায় রাস্তায়। তখন নালা আর রাস্তা আলাদা করা যায় না। রাস্তাটি অপরিসর হওয়ায় বিপদের আশঙ্কা বেশি। নালাটি ঢেকে দিলে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।”
কংগ্রেসের পুর-প্রতিনিধি রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “শহরের অনেক জায়গাতেই বড় বড় খোলা নিকাশি নালা রয়েছে। সেগুলি কার্যত মরণফাঁদ। বিপদ ঘটতে পারে। নালাগুলি এমন ভাবে ঢেকে দেওয়া উচিত, যাতে সহজে সাফাইকর্মীরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারেন।” কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, “বড় নালাগুলির কিছু অংশ ঢেকে দেওয়া হবে। সতর্ক হয়ে চলাফেরা করা উচিত। তা হলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।”