পোকা লাগা চালেই রান্না, বিক্ষোভ

পোকাধরা চাল দিয়ে ভাত রান্নার অভিযোগ উঠেছে ভাচারের ভুমশোর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। টানা কয়েকদিন ধরে ওই ভাত পড়ুয়ারা খেয়েও নিয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সেখানে যান পুলিশ ও ব্লক অফিসের কর্মীরাও। তাঁরা সেখান থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

পোকাধরা চাল দিয়ে ভাত রান্নার অভিযোগ উঠেছে ভাচারের ভুমশোর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। টানা কয়েকদিন ধরে ওই ভাত পড়ুয়ারা খেয়েও নিয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সেখানে যান পুলিশ ও ব্লক অফিসের কর্মীরাও। তাঁরা সেখান থেকে চালের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন।

Advertisement

শুধু পোকা ধরা চাল নয়, বেশ কিছু দিন ধরে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের টিউবওয়েল খারাপ থাকায় পুকুরের জলেই রান্না হচ্ছে বলেও অভিভাবকদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের কাছে থাকা পুকুরটি অপরিচ্ছন্ন। তা সত্ত্বেও মিড-ডে মিলের কর্মীরা রান্নার কাজে ওই জল ব্যবহার করেন। এর ফলে অনেক শিশুই পেটের রোগে ভুগছে। তার উপর আবার দেখা যাচ্ছে, পোকা ধরা চালে রান্না করা হচ্ছে। অভিভাবক রজত শেখ, হায়দার শেখদের কথায়, “পুকুরের জলে রান্না হচ্ছিল। এখন আবার পোকা ধরা চালও শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। কয়েকবার নিষেধ করার পরেও ফল হয়নি। সে জন্যই স্কুলে গিয়ে আমরা ক্ষোভ জানিয়ে এসেছি।’’ ব্লক প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। এই স্কুলে ৪৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের জন্য এখনও দু’বস্তা চাল মজুত রয়েছে। গিয়ে দেখা যায়, চালের বস্তার গায়ে লেগে রয়েছে কালো রঙের পোকাগুলি।

মিড-ডে মিলের কর্মী নাসেমা খাতুনের যদিও দাবি, “পোকা ধরা চালের কথা আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। ভাল চাল না থাকায় ওই খারাপ চাল দিয়েই রান্না করতে হচ্ছে।’’ তবে পুকুরের জলে রান্না করার কথা স্বীকার করেননি তিনি। তাঁর দাবি, “পুকুরের জলে চাল ধোওয়া হলেও রান্না জন্য পড়শি বাড়ির কল থেকে জল নিয়ে আসি।’’ এ দিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ব্লক দফতরে দুই কর্মী ও পুলিশ ভূমশোর গ্রামে যায়। স্থানীয় মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁরা চালের নমুনা সংগ্রহ করেন।

Advertisement

ভাতারের বিডিও শুভ্র ঠাকুর বলেন, “পোকা ধরা চাল দিয়ে কোনও মতেই রান্না করা যাবে না সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক ভাবে কী করা যায় দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement