নদীতে কারখানার বর্জ্য, দূষণের নালিশ

নদী সংলগ্ন পিয়ারিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিত্যক্ত থার্মোকলের অংশ বিশেষ কারখানা কর্তৃপক্ষ ফেলছেন নদীগর্ভে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০০:৪৫
Share:

কাঁকসায় কুনুর নদীর পাশে পড়ে থার্মোকল। নিজস্ব চিত্র

কাঁকসার কুনুর নদের পাড়ে আছে থার্মোকল উৎপাদনের কারখানা। নদী সংলগ্ন পিয়ারিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিত্যক্ত থার্মোকলের অংশ বিশেষ কারখানা কর্তৃপক্ষ ফেলছেন নদীগর্ভে। এমনকী, মাঝে মাঝে তা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়েও দিচ্ছেন। এর ফলে যেমন এক দিকে নদীর খাত মজে যাচ্ছে, জল দূষিত হচ্ছে, তেমনই ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বাতাস। পশ্চিম বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে কাঁকসার বিডিও-কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

বছর দুয়েক আগে থার্মোকল কারখানাটি গড়ে ওঠে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুন মাস থেকেই দুর্গাপুর মহকুমা জুড়ে প্লাস্টিকের সঙ্গে সঙ্গে থার্মোকলের কাপ, প্লেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অবস্থায় বাসিন্দাদের অভিযোগ, থার্মোকল উৎপাদনের পরে পরিত্যক্ত অংশ ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে না সরিয়ে কুনুর নদের পাড়ে ফেলে দেন। থার্মোকল মাটিতে মেশে না। তাই বেশ কিছুদিন জমার পরে কখনও কখনও তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলে চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ ঠাকুরা, স্বপন পাঠকরা বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় জলের আকাল রয়েছে। অনেকেই নদীর জলে স্নান ও দৈনন্দিন কাজকর্ম সারেন। ওই জল মুখে গিয়ে ক্ষতি করার আশঙ্কা রয়েছে।’’ তাঁদের আরও দাবি, গবাদি পশুর দল নদীর জল খায়। স্নান করে। তাদেরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কারখানার বর্জ্য নিয়মিত সরানো হয়ে থাকে। কুনুর নদে কী ভাবে থার্মোকল জমছে, তা তাঁদের জানা নেই। শঙ্খবাবু জানিয়েছেন, প্লাস্টিক ও থার্মোকলের দূষণ থেকে বাঁচতে সচেতনতা গড়ার পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। জুলাই থেকে লাগাতার অভিযান হবে। কাঁকসার এই কারখানার বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কারখানা চালাতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি মানা হবে না। এ ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ মানছেন কিনা, তা বিডিও-কে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছেও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement