পুজোর আগে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড সংস্কারে জোর

অণ্ডাল মোড়ে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড দেখে তা রাস্তা না পুকুর, বোঝা মুশকিল বলে অভিযোগ গাড়ি চালকদের। তাঁরা জানান, বৃষ্টি না হলে তা-ও রাস্তার খন্দ দেখে সাবধানে গাড়ি চালানো যায়। কিন্তু বৃষ্টির জল জমলে গর্ত বোঝা যায় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০২
Share:

দুর্গাপুরের কাদা রোড এলাকায় বেহাল সার্ভিস রোড। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড বেহাল হয়ে পড়ায় মাঝে-মাঝেই দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠছে। বরাকর থেকে পানাগড়, সর্বত্রই একই রকম দশা ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের। পুজোর আগে মেরামত না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা যাত্রীদের। জেলা প্রশাসন সূত্রের আশ্বাস, তার আগেই সার্ভিস রোড সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

অণ্ডাল মোড়ে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড দেখে তা রাস্তা না পুকুর, বোঝা মুশকিল বলে অভিযোগ গাড়ি চালকদের। তাঁরা জানান, বৃষ্টি না হলে তা-ও রাস্তার খন্দ দেখে সাবধানে গাড়ি চালানো যায়। কিন্তু বৃষ্টির জল জমলে গর্ত বোঝা যায় না। চরম সমস্যায় পড়তে হয়। পথবাতি না থাকায় রাতে ওই ভাঙা রাস্তা দিয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে জানান তাঁরা। একই পরিস্থিতি রানিগঞ্জ, আসানসোলের মতো নানা জায়গায়। দুর্গাপুরে গোপালমাঠের কাছে সার্ভিস রোডের পরিস্থিতি কিছুটা ভাল। তবে কাদা রোডের কাছে একেবারে বেহাল। ভিড়িঙ্গি মোড়, মুচিপাড়া, সর্বত্রই সার্ভিস রোড ভেঙেচুরে গিয়েছে বলে গাড়ি চালকদের অভিযোগ।

গাড়ির চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, বহু জায়গায় সার্ভিস রোডের অস্তিত্বই নেই। কোথাও আবার সার্ভিস রোড সরু। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জায়গায় অভাবে বহু জায়গায় সার্ভিস রোড নিয়ম অনুযায়ী চওড়া করা যায়নি। কোথাও রাস্তার ধারে মাটির নীচে গ্যাসের পাইপলাইন থাকায় কাজ করা যায়নি। সার্ভিস রোড অবিলম্বে সংস্কারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কিছু দিন আগে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারিও।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পথ নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন পুলিশ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও পরিবহণ দফতরের প্রতিনিধিরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দুর্গাপুজোর আগে সার্ভিস রোডের হাল ফেরাতে বলা হয়। পুজোর সময়ে রাস্তায় গাড়ি ও মোটবাইকের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। জাতীয় সড়ক ছেড়ে সার্ভিস রোড ধরতে হয় তাদের। জেলাশাসক জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রোড মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রয়োজন মতো পথবাতি লাগানো হবে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

জেলাশাসক আরও জানান, গত বছরের তুলনায় জেলায় এ বার দুর্ঘটনার হার কমেছে। তা আরও কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার পরে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে আরও তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা এবং দুর্ঘটনা নিয়ে সতর্ক করতে মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে, তা ‘ডিজিলকার ডেটবেসে’ উল্লেখ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement