সরানো হচ্ছে ট্যাঙ্কারটিকে। বুধবার ভোরে। নিজস্ব চিত্র
উল্টে যাওয়া গ্যাসের ট্যাঙ্কার নিয়ে বিভ্রাট বাধল বর্ধমানের নতুন রেল উড়ালপুল লাগোয়া এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে পুলিশ, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা সেটি সরানোর কাজে নামে। এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা-সহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতভর চেষ্টায় বুধবার ভোরে ট্যাঙ্কারটি সরানোর পরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন এলাকাবাসী।
সোমবার সকালে বর্ধমানের নতুন রেল উড়ালপুলের কাটোয়ামুখী লেনের নীচে গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কারটি উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেটি শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। নতুন রেলসেতুতে বাঁক নেওয়ার সময়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পরে, এলাকার মানুষকে সতর্ক করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কর্তৃপক্ষকে। এলাকার মানুষ উদ্বেগে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ওই ট্যাঙ্কার থেকে আর একটি খালি ট্যাঙ্কারে গ্যাস স্থানান্তর করা শুরু হয়। কিছুটা গ্যাস লিক হয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও কোনও বিপদ ঘটেনি। সেতুর কাটোয়ামুখী লেন ধরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ছোট গাড়িগুলিকে পুরনো সেতু দিয়ে পাঠানো হয়। ট্রাক-ডাম্পারকে আটকে রাখা হয়। পুলিশ মাইকে প্রচার করে আশপাশের কিছুটা এলাকা খালি রাখার অনুরোধ জানায় এলাকাবাসীকে। বেশ খানিকটা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। সব বাড়িতে আলো জ্বালা বা রান্না করতে নিষেধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাত গড়িয়ে বুধবার ভোরের দিকে গ্যাস ট্যাঙ্কারটি সরানো সম্ভব হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিকচন্দ্র লাহিড়ি, শেখ সুমনেরা বলেন, ‘‘গ্যাস লিক করে এলাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। আমাদের সতর্ক করা হয়েছিল। আমরা রাতে বাড়িতে উনুন ধরাইনি। গোটা এলাকায় কাউকে ধূমপান করতে দেওয়া হয়নি ট্যাঙ্কার সরানোর কাজ চলাকালীন।’’ তৃণমূলের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক নুরুল আলমের দাবি, তাঁরাও এলাকায় সতর্কতা-প্রচার করেন।
দমকলের বর্ধমান ডিভিশনাল অফিসার নিতাই চট্টোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত যাতে ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের উদ্যোগে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ট্যাঙ্কার সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।