শহর যানজটমুক্ত করা, মহকুমার স্বীকৃতি-সহ নানা দাবি আদায়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম। তার সভাপতি রামদুলাল বসু জানান, এডিডিএ-র কাছে শীঘ্রই গৃহীত প্রস্তাবগুলি পাঠানো হবে। পুরসভা-সহ রাজ্যের সংশ্লিষ্ট নানা দফতরকেও জানানো হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই সংগঠনের বার্ষিক সভা হয় শহরের এক অধিবেশন কক্ষে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ১৮৪৭-১৯০৬ পর্যন্ত রানিগঞ্জ মহকুমা ছিল। রেলের ডিভিশনাল অফিস আসানসোলে তৈরি হওয়ার পরে রানিগঞ্জ মহকুমার স্বীকৃতি হারায়। সংগঠনের দাবি, জেলা ভাগ হলে রানিগঞ্জকে মহকুমার স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের সঙ্গে রানিগঞ্জ পাইকারি বাজারের যোগ রয়েছে। শহরকে যানজটমুক্ত করতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’টি বাইপাস চালুর কথা ছিল। রানিসায়ের মোড় থেকে গির্জাপাড়া মোড় পর্যন্ত একটি বাইপাস ১০ বছর আগে তৈরি হলেও তা বেহাল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলপুর থেকে রানিগঞ্জ শহর আর একটি বাইপাস চালুর কথা ছিল। তা এখনও হয়নি। ফোরামের দাবি, যানজট মেটাতে এই দু’টি বাইপাস চালু ও শহরের প্রধান রাস্তা নেতাজি সুভাষ রোড সম্প্রসারণ করতে হবে। যানজটের কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে এলাকায়।
মঙ্গলপুরে আগে উপনগরী গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ হলেও তা বাতিল হয়ে যায়। দূষণের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। ফোরামের দাবি, এখন বহু কারখানা বন্ধ। দূষণের সেই ভয় নেই। তাই ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হোক। সংস্কৃতি চর্চার জন্য শহরে একটি রবীন্দ্রভবন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল করতে শহর ঘিরে রিং রোড, নিয়মিত সাফাই, বেশ কিছু এলাকার জল সমস্যা মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলেও রামদুলালবাবু জানান।