বার্নপুরের প্রেক্ষাগৃহে রাহুল সিংহ ও নির্মলা সীতারামন। নিজস্ব চিত্র।
ফোনের মাধ্যমে দলের সদস্যপদ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ করা, তাঁদের নানা কর্মসূচিতে সামিল করার নির্দেশ দিলেন বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার বার্নপুরের সম্প্রীতি প্রেক্ষাগৃহে দলের ‘মহাসম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিতে সাত সাংগঠনিক জেলার নেতানেত্রীদের এই বার্তা দেন তিনি। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করার জন্য সর্বস্তরের কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার।
এ দিন সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ বার্নপুরের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছন বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামন। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল যথেষ্ট। এলাকাভিত্তিক তালিকা ধরে দলের প্রতিনিধিদের ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছিল। বাইরে ভিড় করেছিলেন দলের অনেক কর্মী। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে কর্মসূচি চলে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নেত্রী মূলত ফোনে যাঁদের সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দলের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই সদস্যদের কাছে গত এক বছরে মোদী সরকারের বিভন্ন সাফল্যের দিক তুলে ধরতে হবে। তিনি দলের জেলা নেতাদের আরও জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাতের যে প্রচার হচ্ছে তা ঠিক নয়। আগামী বিধানসভা ভোটে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে নির্দেশও দেন।
গত মঙ্গলবার হাওড়ায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দলের নেতা-কর্মীদের জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে কলকাতা থেকে দলের বিজয়রথ চালু করতে হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, এর পরে দলের কর্মীদের মধ্যে জল্পনা তৈরি হয়, নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও তৃণমূলের সঙ্গে নৈকট্যের বাতাবরণ বুঝে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আর ২০১৬-র বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করতে বলছেন না। দলের অন্দরে তৈরি হওয়া এই বিভ্রান্তি কাটাতেই নির্মলা বিধানসভা ভোটের জন্য ঝাঁপানোর ডাক দিলেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। শুক্রবার দুই ২৪ পরগনার সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকেও তিনি একই রকম বার্তা দিয়েছেন।
দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন, মহা জনসম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই আসানসোল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরনিগমের ভোটের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে এই নির্বাচনে ভাল ফল করা জরুরি বলেও বার্তা দেন তিনি।