ডিয়ার পার্ক (হরিণালয়) তৈরির উদ্যোগ।
১৩ বিঘা জমির উপরে ডিয়ার পার্ক (হরিণালয়) তৈরির উদ্যোগ করা হয়েছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বগপুর পঞ্চায়েতের দামোদরপাড়ায়। বৃহস্পতিবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পূর্বস্থলীতে হরিণালয় তৈরির জন্য ডিপিআর (ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট) তৈরি করতে বলেন। পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, এই কাজ হলে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাবে কয়েকগুন।
নদিয়া জেলার নবদ্বীপের গা ঘেঁষে রয়েছে এই ব্লকটি। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত অজস্র মঠ মন্দির রয়েছে এখানে। যার টানে সারা বছর প্রচুর দেশি, বিদেশি পর্যটকেরা আসেন। তাঁদের জন্য বাঁশদহ এবং চাঁদের বিল সংস্কার করা হয়েছে। মুড়িগঙ্গা সংস্কার করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার জন্যও অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এ বার অরণ্য ভবনে গিয়ে বনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, পূর্বস্থলীর দামোদরপাড়া এলাকায় অনাথ আশ্রমের পাশে রয়েছে ১৩ বিঘা জমি। জমি লাগোয়া বড় পুকুর রয়েছে। কাছাকাছি তৈরি করা হয়েছে একটি অগভীর নলকূপ। শান্ত পরিবেশটি হরিণালয়ের জন্য আদর্শ বলে জানান তিনি। বনমন্ত্রীর হাতে নথিপত্রও তুলে দেন।
বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে স্বপনদা হরিণালয়ের কথা বলছেন। এই প্রকল্পের জন্য যে জমির কথা বলা হয়েছে, তা জেলাশাসককে হস্তান্তর করতে হবে। জমি হস্তান্তর হলে তা বন্যপ্রাণীদের জন্য বিশেষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হবে। যার আশপাশে বাড়ি ঘর তৈরি করা যাবে না। প্রকল্পের জন্য একটি ডিপিআর তৈ রি করতে বলা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বর্ধমানের চিড়িয়াখানাকেও নতুন করে সাজানোর কথা ভাবা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন জীবজন্তু আনার উদ্যোগ করা হচ্ছে।
গত শীতে কালনার ছাড়িগঙ্গায় প্রচুর পরিযায়ী পাখি দেখা গিয়েছিল। চোরা শিকারিদের হাত থেকে পাখিদের বাঁচাতে বনকর্মীরা জলাশয়ে নজরদারি বাড়ান। এ দিন বনমন্ত্রীর কাছে কালনার ছাড়িগঙ্গায় পাখিরালয় তৈরির আর্জিও জানান স্বপন দেবনাথ। বনমন্ত্রী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। স্বপন বলেন, ‘‘বহু দিনের স্বপ্ন ছিল এলাকায় একটি হরিণালয় তৈরির। শুক্রবার ডিপিআরের বিষয়টি নিয়ে জেলা বনাধিকারিকের সঙ্গে দেখা করব। আশা করছি, খুব শীঘ্রই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘পর্যটকদের জন্য অজস্র উপাদান রয়েছে এই ব্লকে। হরিণালয় গড়ে উঠলে মানুষের ভিড় আরও বাড়বে।’’