মোষের ধাক্কা পড়ুয়াবোঝাই পুলকারে। — নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল পড়ুয়াবোঝাই একটি পুলকার। জঙ্গল থেকে আচমকাই বেরিয়ে আসে দু’টি মোষ। মোষ দেখে ঘাবড়ে যান পুলকার চালক। সজোরে ব্রেক কষেন। তার মধ্যেই একটি মোষ সোজা ধাক্কা মারে পড়ুয়াবোঝাই পুলকারে। তাতে চোট লাগে দুই স্কুল পড়ুয়ার। বাকি পড়ুয়ারাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছে।
দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে নয় খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল একটি পুলকার। বিধাননগরের শালারপুরিয়া আবাসনের উল্টো দিকের জঙ্গল থেকে হঠাৎই দুটি মোষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে। মোষ দেখে চালক জোরে ব্রেক কষেন। তার মধ্যেই একটি মোষের সঙ্গে ধাক্কা লাগে পুলকারের। ধাক্কার অভিঘাতে পুলকারটি রাস্তা ছেড়ে নীচে নেমে যায়। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই খুদে পড়ুয়ার মাথায় চোট লাগে। একজনের পায়ে চোট লাগে। এ ছাড়াও অল্পবিস্তর জখম হয়েছে আরও কয়েক জন খুদে পড়ুয়া। আহত পড়ুয়াদের ভর্তি করানো হয়েছে দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী হাফিজ আনোয়ার বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। আমি বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। পুলকারটি আমাকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। তখনই জঙ্গল থেকে একটি মোষ বেরিয়ে এসে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িতে। গাড়ির ভেতরে থাকা বাচ্চাগুলো সামনের কাচে ধাক্কা খেয়ে গাড়ির মধ্যেই পড়ে যায়।’’ এক অভিভাবক ভবানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি বাচ্চারা সবাই কান্নাকাটি করছে। দু’জনের গুরুতর চোট লেগেছে। পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য বাস দেওয়া দরকার। তা হলে এ রকম দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় না।’’ যদিও পুলকারের চালক বৈদ্যনাথ ভান্ডারী বলছেন, ‘‘গাড়ি ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। তখনই দুটি মোষ চলে আসে। একটি মোষ গাড়িতে ধাক্কা মারে। মোষের ধাক্কায় আমার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। ন’জন পড়ুয়া ছিল, তার মধ্যে তিন জনের আঘাত লেগেছে।’’