ক্ষমতা না থাকায় এলাকার অরাজনৈতিক, বিশিষ্ট মানুষেরা প্রার্থী হতে চাননি, তাই দলের লোকজনদেরই প্রার্থী করেছে সিপিএম শনিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে এমনটাই জানালেন কালনার এক সিপিএম নেতা। যদিও সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দল নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছে। ঠিকঠাক ভোট হলে ফের কালনা পুরসভায় ক্ষমতায় আসবে দল।
প্রথমে পুরশ্রী মঞ্চে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের তরফে সব মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়া হয়। শনিবার দল বেঁধে মনোনয়ন জমা দেন সিপিএম নেতারা। গত বারের ছয় কাউন্সিলরের মধ্যে চার জনকে এ বার টিকিট দেয় দল। ১১ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়াই ওই ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলার দেবাশিস দে-র স্ত্রী ফাল্গুনী মল্লিক টিকিট পেয়েছেন।এক মাত্র দশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বরুন সিংহকে এ বার টিকিট দেয় নি দল। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা চিকিত্সক গৌরাঙ্গ গোস্বামী এ বার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিআই একটি করে ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন দিয়েছে।
মেমারির ১৬টি ওয়ার্ডেও শনিবারই সিপিএম প্রার্থীরা বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমাশাসকের দফতরে এসে মনোনয়ন জমা দেন। তাঁদের অন্যতম মেমারি পুরসভা প্রাক্তন উপপুরপ্রধান অভিজিত্ কাঙার বলেন, “এ বার মানুষ আমাদের পাশেই দাঁড়াবেন। তৃণমূলের শাসনে ইতিমধ্যেই মেমারির মানুষ বিতশ্রদ্ধ। তাই ফল এ বার উল্টো হবে।”