মাঠ দখলের অভিযোগে ব্যাট হাতে বিক্ষোভ

দাঁইহাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাইহাট মৌজার ১৭২ নম্বর দাগের ২৪ শতকের খেলার মাঠ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ৭০ বছর ধরে বারোয়ারি প্রয়োজনে ব্যবহার হয় মাঠটি। এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করে। বেশ কিছু বছর আগে ‘সংগ্রামী সঙ্ঘ’ নামে এক ক্লাবঘরও তৈরি হয়েছে ওখানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৮:৪০
Share:

ক্ষোভ: মাঠ ফেরানোর দাবিতে মিছিলে খুদেরা। নিজস্ব চিত্র

ভয় দেখিয়ে খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ তুলে ব্যাট, বল হাতে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দাঁইহাটের পাতাইহাটের বাসিন্দারা। সোমবার দুপুরে ওই মাঠের দখল রোখার আর্জি জানিয়ে স্মারকলিপিও জমা দেন শ’খানেক বাসিন্দা। সঙ্গে ছিল খুদেরাও।

Advertisement

দাঁইহাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাইহাট মৌজার ১৭২ নম্বর দাগের ২৪ শতকের খেলার মাঠ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ৭০ বছর ধরে বারোয়ারি প্রয়োজনে ব্যবহার হয় মাঠটি। এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলো করে। বেশ কিছু বছর আগে ‘সংগ্রামী সঙ্ঘ’ নামে এক ক্লাবঘরও তৈরি হয়েছে ওখানে। ক্লাবের সদস্য সুরজিৎ মণ্ডল, নিমাই মণ্ডলদের দাবি, ‘‘আমরা এত দিন ধরে জানি ওই জায়গার কোনো মালিক নেই। এখন জায়গাটি পাতাইহাটেরই বাসিন্দা বিনোদ বিশ্বাস ভুয়ো দলিল বানিয়ে বেআইনি ভাবে দখল করে নিয়েছেন।’’ প্রতিবাদ করায় বিনোদবাবু বাইরে থেকে গুন্ডা এনে অস্ত্র দেখিয়ে এলাকাবাসীদের ভয় দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। ক্লাবঘরটিও দিন দশেক আগে বিনোদের দলবল ভেঙে দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আশুতোষ মণ্ডল, বাবু মাঝিদের।

মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের বাইরে ব্যাট হাতে জড়ো হওয়া খুদে অজয় রায়, মৌমিতা মণ্ডলেরাও বলে, ‘‘আশপাশে আর কোনও মাঠ নেই। বিকালে খেলার জায়গা বলতে মাঠটুকুই। সেটা না থাকলে খেলব কোথায়!’’

Advertisement

কাটোয়া ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘জমিটি বিনোদ বিশ্বাসের নামে মিউটেশন হয়েছিল বলেই জানি। তবে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও হয়েছে। হিয়ারিং হলেই জমিটি কার তা স্পষ্ট হবে।’’ দলিল ভুয়ো কিনা জানতে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিলের সার্টিফায়েড কপি তোলার কথাও বাসিন্দাদের জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব সরকার। বিনোদ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement