ফাইল চিত্র
বর্ধমান আদালতের লকআপে বন্দিদের খাবার মিলছে না। বরাদ্দ না বাড়ানোয় খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদার। তার জেরে সারাদিন না খেয়েই কাটাতে হচ্ছে বন্দিদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানে।
জানা গিয়েছে, আদালতের লকআপে বন্দিদের জন্য খাবারের জন্য বরাদ্দ মাত্র ১৬ টাকা। সেই টাকায় ৬টি রুটি ও সব্জি দেওয়া হয়। মাস দুয়েক আগে বন্দিদের খাবারের বরাদ্দের টাকা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন ঠিকাদার। কিন্তু, বরাদ্দ বাড়েনি। তাই, মাসখানেক হল বন্দিদের খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ঠিকাদারের চিঠি মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম)-কে পাঠিয়ে দেন জেলা জজের কাছে। জেলা জজ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিজেএম-কে নির্দেশ দেন। সিজেএম ঠিকাদারকে ডেকে পাঠান। কিন্তু, বরাদ্দ না বাড়ানো পর্যন্ত খাবার দিতে অস্বীকার করেন ঠিকাদার।
বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, ‘‘বিষয়টি ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়ার উচিত। বন্দিরা সারাদিন খাবার পাবেন না এটা কখনই কাম্য নয়। আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি মিটে গেলে সবার পক্ষে ভাল হয়।’’
আইনজীবী হরদীপ সিং অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘খাবারের বিষয়টি সরকারের মানবিক ভাবে দেখা উচিত। লকআপের পরিবেশও খারাপ। খাবারের পাশাপাশি পানের যোগ্য জল মেলে না। নোংরা পরিবেশে লকআপে বন্দিদের থাকতে হয়। খাবারের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। বন্দিদের খাবার না মেলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জেলা জজ ও সিজেএম-র দেখা উচিত।’’
খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার অলোক আঁশ বলেন, ‘‘এই টাকায় খাবার দেওয়া অসম্ভব। ৬টি রুটির দাম খোলাবাজারে ১৮ টাকা। সব্জির দাম ১০ টাকা। তার উপর খাবার প্যাকেটজাত করার খরচ রয়েছে। খাবারের জন্য ২৮ টাকা করে বরাদ্দ করার কথা বলেছি। লোকসান করে খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান হচ্ছে। আমার সমস্যার কথা সিজেএম-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।’’