Kalna

বাজারে অভিযান সত্ত্বেও দাম চড়া

অভিযানের পর দিন, বৃহস্পতিবার অবশ্য আনাজের দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০১:৪২
Share:

কালনার বাজারে। নিজস্ব চিত্র

পুজোর আগে কালোবাজারি রুখতে বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কালনার বিভিন্ন বাজার ও হিমঘরে অভিযান চালালেন প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। তবে তার পরেও, বৃহস্পতিবার আনাজের দাম কোথাও কমেনি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

Advertisement

বুধবার জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, কৃষি বিপণন দফতর, পূর্ব বর্ধমান জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি এবং পুলিশের প্রতিনিধিরা কালনার চকবাজার ও জিউধারা এলাকায় অভিযান চালান। আলু, পেঁয়াজ-সহ নানা আনাজের দাম বিক্রেতারা কত দরে বিক্রি করছেন, তা খোঁজ নেন। দামের হেরফের দেখলে বিক্রেতার কাছে কারণ জানতে চান। বেআইনি মজুত করে কৃত্রিম ভাবে জিনিসের দাম না বাড়ানোর পরামর্শও দেন ব্যবসায়ীদের।

বাজার পরিদর্শনের পরে ওই প্রতিনিধিরা জিউধারা, পূর্ব সাতগাছিয়া, রামেশ্বরপুর, গোয়ারা, বাঘনাপাড়া, হাটবেলে এলাকার হিমঘরগুলি পরিদর্শন করেন। প্রতিটি হিমঘরে এখন কত আলু মজুত রয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহ করেন। হিমঘর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, কোনও ভাবেই হিমঘর থেকে আলু বার করার পরিমাণ যে না কমানো হয়। জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির এক কর্তার কথায়, ‘‘পুজোর আগে যাতে বাজারে কোনও ভাবে কালোবাজারি না হয়, তা নজর রাখতেই এ দিন এই অভিযান চালানো হয়েছে।’’

Advertisement

অভিযানের পর দিন, বৃহস্পতিবার অবশ্য আনাজের দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। উল্টে, বেগুন-সহ বেশ কিছু আনাজের দাম খোলা বাজারে আরও বেড়েছে। এ দিন কালনার খোলা বাজারগুলিতে কেজি প্রতি বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ টাকা, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, বিনস ২০০ টাকা, সজনে ডাঁটা ২০০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, বিট ৫০ টাকা, গাজর ৬৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লঙ্কা ১৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, একটি ফুলকপি ৩৫-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। জ্যোতি আলু ৩০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু ৩৬ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা ও রসুন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

চকবাজারের খুচরো আনাজ বিক্রেতা ধ্রুব দে দাবি করেন, ‘‘জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে। সকালে যেমন দরে কিনছি, তার উপরে একটি নির্দিষ্ট লাভ রেখে বিক্রি করছি।’’ ব্যবসায়ীদের দাবি, আনাজের দাম চড়া থাকায় অনেকেই পরিমাণে কম কিনছেন। শহরের বাসিন্দা গোপাল ক্ষেত্রপালের বক্তব্য, ‘‘বুধবার অভিযানের পরে কোনও জিনিসেরই দাম কমেনি। চড়া দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।’’ ক্রেতাদের অনেকের দাবি, প্রশাসনের কর্তাদের অভিযানের সময়ে বিক্রেতাদের অনেকে আনাজের দাম কমিয়ে বলেন। আধিকারিকেরা চলে গেলেই ফের বেশি দাম নেওয়া হয়।

নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি ও পুলিশের অবশ্য আশ্বাস, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement