রাস্তা বেহাল। তার জেরে বুধবার থেকে কাটোয়া থেকে শ্যামবাজার রুটে বন্ধ বাস চলাচল। এর জেরে দুর্ভোগে প়ড়ছেন ১৪টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দিনভর বালিবোঝাই লরির যাতায়াতের ফলে রাস্তার হাল খারাপ হয়েছে।
কাটোয়া থেকে শ্যামবাজারে যাওয়ার জন্য ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, ফুলবগান থেকে মাঝিগ্রাম পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তার হাল সবথেকে খারাপ। বাসিন্দারা জানান, রাস্তার হাল এমনই যে, বুধবার থেকে এই রুটের আটটি বাসের চলাচলই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টরাজেরা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কাটোয়ার সঙ্গে ধান্যরুখি, লক্ষ্মীপু্র, পিণ্ডিরার মতো ১৪টি গ্রামের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।’’ রাস্তা খারাপ হওয়ায় হেঁটেও যাতায়াত করা যাচ্ছে না বলে জানান বাসিন্দারা। বর্ষায় অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
ঘরে বসে থেকে রুজিতেও টান পড়ছে বসে জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা লালু মাঝি, পল্টু পালেরা জানান, কাটোয়ায় তাঁরা একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন। বাস বন্ধ থাকায় এখন ঘরে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। সমস্যায় পড়েছেন বাস মালিকেরাও। বাসমালিক তাপস হাজরার আক্ষেপ, ‘‘রাস্তার হাল এমনই যে, বাস চালালে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তার কারণে ব্যবসা মার খাচ্ছে।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি।
মঙ্গলকোটের বিডিও সায়ন দাশগুপ্ত অবশ্য রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।