Durgapur Station

দুর্গাপুর স্টেশন থেকে নেমেই হোঁচট স্ট্যান্ডের রাস্তায়

যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার-সহ নানা কিছু নিয়েই সমস্যা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫১
Share:

এমনই অবস্থা স্ট্যান্ডের। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর স্টেশন লাগোয়া বাস স্ট্যান্ডের রাস্তাঘাট বেহাল, এমন অভিযোগ তুলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাস চালক থেকে যাত্রী, সবাই।

Advertisement

দুর্গাপুর স্টেশনের মূল গেট দিয়ে বেরিয়েই স্ট্যান্ডটি। দুর্গাপুর স্টেশনে রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেস, কালকা মেল, পূর্বা এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত, জনশতাব্দী-সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসে গড়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁদের বেশির ভাগই হেঁটে, বাসে, অটোয় যাতায়াতের জন্য স্ট্যান্ডটি ব্যবহার করেন।

যাত্রীরা জানান, স্ট্যান্ডের এক দিক থেকে শহরের ‘টাউন সার্ভিস’ বাস (মিনিবাস) ছাড়ে। এ এবং বি জ়োন, বেনাচিতি, এমএএমসি, বিধাননগর, মুচিপাড়া, অন্ডাল, উখড়া, রানিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা হয়ে প্রায় ২৫০টি মিনিবাস রোজ এই স্ট্যান্ডে আসে। স্ট্যান্ডের অন্য দিক থেকে ভিন্-জেলার সরকারি ও বেসরকারি বড় বাসগুলি ছাড়ে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বোলপুর, বহরমপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তের বিভিন্ন রুটে প্রায় দু’শোটি বাস প্রতি দিন এই স্ট্যান্ড হয়ে যাতায়াত করে।

Advertisement

কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার-সহ নানা কিছু নিয়েই সমস্যা রয়েছে। নিত্যযাত্রী বেনাচিতির সুদেব মল্লিক বলেন, “স্টেশন থেকে বেরিয়ে শহরে প্রথম পা পড়ে এই বাসস্ট্যান্ডেই। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে স্ট্যান্ডের একই চেহারা।” সব থেকে বেশি সমস্যা স্ট্যান্ডের রাস্তা নিয়ে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রোড থেকে ভিতরে ঢোকার রাস্তাটি খন্দে ভরা ছিল। জল জমে ছিল। অভিযোগ, সেই সব খন্দগুলি দিন দুয়েক আগে দায়সারা ভাবে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত
পাকাপাকি ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, বা বৃষ্টি হলে, ফের আগের অবস্থায় রাস্তাটি ফিরে আসবে বলে দাবি। ভিতরের রাস্তাঘাটও তথৈবচ। যাত্রী নিমাই প্রামাণিকের অভিজ্ঞতা, “স্ট্যান্ডের ভিতরে মনে হয়, যে কোনও সময় বাস উল্টে যাবে।
পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঠেসাঠেসি করে দাঁড়িয়ে থাকে বাসগুলি। তার উপরে রাস্তার এই হাল।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস চালক বলেন, “‘ঝকঝকে রাস্তা দিয়ে এসে এই স্ট্যান্ডে ঢুকতে বিরক্ত লাগে। যন্ত্রাংশের ক্ষতির আশঙ্কা তো আছেই!”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝে মাঝেই স্ট্যান্ডের রাস্তার সংস্কার করা হয়। বর্ষায় জল জমে কয়েকটি
জায়গায় পিচ উঠে ফের খন্দ তৈরি হয়েছে। পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement