—প্রতীকী চিত্র।
নাবালক ছেলেকে শাসন করতে গিয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছিলেন বধূ। আর সে জন্য তাঁকে ভৎর্সনা করেছিলেন শাশুড়ি। পরিবারের দাবি, সেই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ২৬ বছরের নুরজাহান শেখ। কিন্তু পুলিশকে না-জানিয়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ওই বধূর দেহ কবর দিয়ে দেয় পরিবার। ওই খবর পেয়ে বুধবার বাড়িতে গেল পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আউশগ্রামের উক্তা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক আব্দুল করিম শেখের স্ত্রী নুরজাহানের বাপের বাড়ি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে। দম্পতির দু’টি নাবালক সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে সাত এবং তিন বছর। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালের দিকে। জানা গিয়েছে, নুরজাহান গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। এক ছেলে সেই সময় বায়না করছিল। কিছুতেই তাকে সামলানো যাচ্ছিল না বলে বকাঝকা করেন তিনি। ছেলেকে চড়থাপ্পড়ও মারেন মা। সেটা দেখে শাশুডি আবার বকাবকি করেন বৌমাকে।
পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার পর আর তেমন কিছুই হয়নি। রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে সবাই ঘুমোতে যান। কিন্তু মধ্যরাতে বধূর স্বামী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য উঠলে পাশের একটি ঘরে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। বুধবার দেহটি ময়নাতদন্ত না করিয়ে কবর দিয়ে দেওয়া হয়। ওই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।’’