BJP Road Block

বিজেপির পথ অবরোধে থমকে শহর, ভোগান্তি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কর্মসূচির জেরে সকাল ১১টা থেকে আসানসোল স্টেশন রোড কার্যত বিজেপির সদস্য-সমর্থকদের দখলে চলে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২৭
Share:

বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে আসানসোলে বিজেপির বিক্ষোভ-মিছিলের জেরে জিটি রোডে স্তব্ধ যান চলাচল। শুক্রবার। ছবি: পাপন চৌধুরী

বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে গ্রাহকদের কাছে পাঠানোর দাবিতে শুক্রবার ঘণ্টাখানেক জিটি রোড অবরোধ করল বিজেপি। এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি অভিযোগ করেন, “নানা অছিলায় বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি করছে রাজ্য সরকার। এই রাজ্যে বিদ্যুতের মাসুল দেশের অন্য সব রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতি তিন মাস পর পর বিল পাঠানো হওয়ায় ইউনিট প্রতি অনেক বেশি মাসুল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।” বিধানসভাতেও বিষয়টি বলা হয়েছে বলে জানান অগ্নিমিত্রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কর্মসূচির জেরে সকাল ১১টা থেকে আসানসোল স্টেশন রোড কার্যত বিজেপির সদস্য-সমর্থকদের দখলে চলে যায়। শুরু হয় তীব্র যানজট। ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। পরিস্থিতির সামাল দিতে সমস্যায় পড়ে আরপিএফ ও রাজ্য পুলিশ। দুপুর ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হয়। হাটন রোডে এসে চৌমাথা লাগোয়া জিটি রোডে বসে পড়েন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। ফলে, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালমুখী হাটন রোড, ইসমাইল রোড বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ চলতে থাকে। কমিশনারেটের এসিপি দেবরাজ দাসের নেতৃত্বে র‌্যাফ নামানো হয়। পরে, বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ দফতরের আসানসোল শহর ১ নম্বর অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

Advertisement

এই কর্মসূচিকে বিঁধেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, “কাজের দিনে এমন অবরোধ করে মানুষকে বিপদে ফেলেছে বিজেপি।” তাঁর সংযোজন: এই রাজ্যেই বিপিএল তালিকাভুক্ত গ্রাহকেরা মাসে ৭৫ ইউনিট মাসুলহীন বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “শহরবাসীর সাময়িক কিছু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে মানুষ এই কষ্ট মেনে নিয়েছেন বলেই এ দিন বহু সাধারণ মানুষ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement