সচেতনতায় কালনার এসডিও এবং এসডিপিও। —নিজস্ব চিত্র।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী লেখচিত্র, ক্রমাগত সচেতনতা প্রচার সত্ত্বেও মাস্ক ছাড়াই পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বৈদ্যপুর মোড়ে নজরদারি চালিয়ে এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় প্রশাসন। মাস্ক দেওয়াও হয় অনেককে।
বেলা ১২টা নাগাদ এসটিকেকে রোডের উপরে ওই মোড়ে পৌঁছন মহকুমাশাসক (কালনা) সুরেশকুমার জগৎ। ছিলেন এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য, কালনা থানা ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরাও। মাস্কহীন টোটো চালক, মোটরভ্যান চালক, সাইকেল আরোহী, পথচারীদের দাঁড় করানো হয়। প্রশ্ন করতেই নানা ‘অজুহাত’ আসতে থাকে। রাজীব সাঁতরা নামে এক টোটো চালক বলেন, ‘‘মাস্ক নিয়ে বেরিয়েছিলাম। এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না।’’
ভোলা কৈরি নামে আর এক টোটো চালক হাতজোড় করে বলেন, ‘‘স্যর, এ বার ছেড়ে দিন। আর কোনও দিন মাস্ক ছাড়া, বেরোব না।’’ মোটরবাইক আরোহী উজ্জ্বল পাত্র আবার জানান, হাসপাতালে খাবার দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাড়াহুড়োয় মাস্ক ভুলে গিয়েছেন। প্রত্যেককেই মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝিয়ে মাস্ক দেন পুলিশকর্মীরা।
মিনিট ৩০ নজরদারির খবর চাউর হয়ে যায় আশপাশের এলাকাতেও। কেউ মাফলার, কেউ গামছায় মুখ ঢাকেন। অনেকেই ভিড় জমান মাস্ক কিনতেও। মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও মাইক নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘করোনা বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতেই হবে। মাস্ক না পরলে জরিমানাও করা হচ্ছে।’’
এসডিপিও জানান, মহকুমার যে সমস্ত বাজারগুলিতে প্রচুর লোকজনের যাতায়াত রয়েছে, সেখানে ভিড় কমানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসন ও বিভিন্ন থানা এলাকার বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। মাস্ক পরায় গাফিলতি দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দাবি তাঁদের।