রাতে আলো চাই গ্রামের রাস্তায়

সম্প্রতি আনন্দবাজারের কিছু পাঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন অন্ডালের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত্রা বাউরি। এলাকাবাসীর নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন নীলোৎপল রায়চৌধুরী। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর। • আমাদের পাড়ায় একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চের দাবি দীর্ঘদিনের। কবে মিটবে?

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪২
Share:

দামোদরের পাড় ভাঙছে এলাকায়। —ওমপ্রকাশ সিংহ

• আমাদের পাড়ায় একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চের দাবি দীর্ঘদিনের। কবে মিটবে?

Advertisement

বিশ্বজিৎ দালাল বাউরিপাড়া

Advertisement

প্রধান: ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গ্রামে একটি বড় সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বাউরিপাড়ার এই প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে।

• দু’টি সংসদ নিয়ে আমাদের এলাকা। আগে রেলের জায়গায় একটি খেলার মাঠ ছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরি হওয়ায় এলাকায় খেলার মাঠ নেই। বেশি অসুবিধা বাচ্চাদের। নিদেনপক্ষে একটি পার্ক হলেও ভাল হয়। এ ছাড়া রাস্তায় রাতে আলো দিলে মেয়েদের স্বাচ্ছন্দ বাড়ে।

স্বপন লাল ওয়ার্কশপ কলোনি

প্রধান: দামোদরের পাড়ে কুঠিডাঙায় ২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকায় একটি ইকো পার্ক তৈরির কাজ চলছে। সেখানে শিশু, বয়স্কদের খেলা ও ব্যায়ামের আলাদা জায়গা, পিকনিকের জায়গা থাকছে। পর্যটকদের জন্য কটেজ তৈরি হচ্ছে। এর পরে ওয়ার্কশপে একটি শিশুউদ্যান হবে। সংযোগকারী রাস্তাগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য পঞ্চায়ত থেকে পুজোর আগে সমীক্ষা হয়েছে। এ বার পরিকল্পনা রূপায়িত হবে।

• ভাঙনের জেরে দামোদর লোকালয় থেকে দু’শো মিটার দূরে বইছে। চাষযোগ্য জমি যা আছে তা অচিরেই বিলীন হওয়ার উপক্রম। পাড়ে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আছে কি?

বিশ্বজিৎ মণ্ডল ডাঙালপাড়া

প্রধান: একশো দিনের কাজে তিনশো মিটার পাড় মাটি ও বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তাতে সমস্যা মেটার নয়। তাই জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাড় বাঁধার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। দেড় কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। কাজ শুরু হবে।

•ঘোষ, বাউরি ও সিংহ পাড়ার একাংশে পরিস্রুত জলের ব্যবস্থা নেই। প্রায় আড়াইশো পরিবার জলকষ্টে ভুগছেন। আধ কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়।

কুণাল ঘোষ কুঠিডাঙা

প্রধান:ওয়ার্কশপে জলেরপাইপ লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তা শেষ হলে এই এলাকায় শুরু হবে।

• শ্মশানে শবযাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার কোন ছাউনি নেই। বর্ষায় খুব অসুবিধায় পড়তে হয়।

পান্নালাল ঘোষ নিচু ঘোষপাড়া

প্রধান:শ্মশানে ৬ লক্ষ টাকায় শবদাহের জন্য পাকা বেদী তৈরি হয়েছে। বাকি যা আছে পরের বছরের কর্মসূচিতে ধরা হয়েছে।

• আমাদের গ্রামে একটি জুনিয়র হাইস্কুল আছে। মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হওয়া দরকার। কারণ ভৌগলিক কারণে এই গ্রাম বর্ষায় দ্বীপে পরিণত হয়। ওই সময় পড়ুয়ারা মাধ্যমিক স্কুলে যেতে পারে না। এ ছাড়া গ্রামে চারটি বাড়িতে এখনও শৌচাগার হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।

বিকাশ মিত্র দাসপাড়া

প্রধান:জায়গার অভাবে চারটি পরিবার শৌচাগার করতে পারেনি। ওদের জন্য সমষ্টিগত ভাবে একটি শৌচাগার পঞ্চায়েত করে দেবে। শ্রীঘ্র কাজ শুরু হবে। জুনিয়র স্কুলটি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করার প্রস্তাব জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছি।

• ডিভিসি ২০০৬ সালে গ্রামের ৪৫০ একর জমি অধিগ্রহণের সময় হাজার দিনের মজুরি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেবে বলেছিল। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু হলেও কেউ ওই ক্ষতিপূরণ পাননি। এলাকায় ন’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের তিনটির কোনও নিজস্ব ভবন নেই। এ ছাড়া রাস্তায় যে ভাবে মানুষ বাড়ির নোংরা ফেলছেন তা বন্ধ না হলে নির্মল পঞ্চায়েত প্রচারেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

তপন দালাল ডাঙালপাড়া

প্রধান: ডিভিসি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে সম্প্রতি পঞ্চায়েতের তরফে চিঠি লিখে এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। অঙ্গনওয়াড়ির এমন পরিস্থিতি নিজস্ব জায়গার অভাবে। খাস জমির খোঁজ চলছে। পেলেই ভবন তৈরি হবে। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির কাজ শেষের মুখে। তা চালু হলেই প্রত্যেকের বাড়ির সামনে একটি সবুজ ও একটি লাল বালতি রাখা হবে. তাতেই নোংরা ফেলতে হবে। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী বালতি সংগ্রহ করে বর্জ্য প্রকিয়াকরণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। তা থেকে সার হবে।

•গ্রাম থেকে দুর্গাপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তা বেহাল। হাজার আবেদনেও কাজ হয়নি। পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা কী? মাটির তৈরি ইট ব্যবহারে নিষেধা়জ্ঞা রয়েছে। আমরা ফ্লাই অ্যাশের ইট কোথায় পাব?

শুভ্র সিংহ রায়পাড়া

প্রধান:দুর্গাপুজোর আগে সংস্কার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য বন্ধ আছে। ওই রাস্তার বড় অংশ রেলের অধীনে পড়ে। রেল তাদের জায়গায় কাজ করার অনুমতি দিতে দেরি করায় দীর্ঘদিন কাজ করা যায়নি। জেলায় আমরাই প্রথম ফ্লাই অ্যাশের ইট তৈরির কেন্দ্র গড়েছি দামোদরের পাড়ে। পঞ্চায়েত সমিতি যন্ত্রের বরাত দিয়েছে। তা আমরা হাতে পেলেই ইট উৎপাদন শুরু হবে।

•বাউরি ও ঘোষপাড়ায় দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নেই। এর জেরে প্রথমটিতে গবাদি পশু প্রাঙ্গণ নোংরা করছে। দ্বিতীয়টি প্রধান রাস্তার পাশে হওয়ায় খুদেদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

শঙ্কর ঘোষ কুঠিডাঙা

প্রধান: রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারের অধীন সমস্ত ভবনে পাঁচিল দেওয়া হবে। দ্রুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

• গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। চাই নিদেনপক্ষে দু’টি শয্যাও।

জিতেন দাস দাস ও রায় পা়ড়া

প্রধান:পঞ্চায়েতের ক্ষমতা সীমিত। স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এ নিয়ে একাধিক বার আবেদন জানিয়েছি।

• আমবাগান থেকে আশ্রম পর্যন্ত পাকা রাস্তা চাই। এ ছাড়া গ্রামের মোট ছ’টি পুকুরে মেয়েদের জন্য পাকা ঘাট চাই।

মানিক বাগদি বাগদি ও ধীবর পাড়া

প্রধান:দামোদর থেকে আমবাগান রাস্তা পাকা হয়েছে। বাকিটুকু শ্রীঘ্র পাকা হবে। ঘাটগুলিও বাঁধানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement