Galsi

দ্বন্দ্বের আঁচ, জোড়া  তালা পার্টি অফিসে

দলের এই কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই দু’পক্ষকে আজ, মঙ্গলবার ডেকেছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:২২
Share:

দরজায় দু’টি তালা। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা দেওয়া ঘিরে কোন্দলের আবহ তৈরি হল গলসি ১ ব্লকের খলসেগড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে দু’টি তালা ঝুলতে দেখা যায়। দলের একাংশের দাবি, দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরেই সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দু’পক্ষকে ব্লক নেতৃত্ব ডেকে পাঠিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

Advertisement

খলসেগড়ে পারাজ-শিল্ল্যা রাস্তার উপরে রয়েছে ওই কার্যলয়টি। সেখানে বোলপুর, কড়কডাল, শিহিগ্রাম, রানাডি, খলসেগড়, জাগুলিপাড়া-সহ কয়েকটি গ্রামের কর্মীরা দলের কাজকর্ম করেন। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, ওই দফতর কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। তার জেরেই এই তালা। অভিযোগ, প্রথমে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূলের জেলা যুব সহ-সভাপতি রহমত মোল্লার ভাই তথা ছাত্র নেতা কেরামত মোল্লা। সন্ধ্যায় তৃণমূল নেতা শেখ আবু বক্কার, রাঙা মোল্লা, জাকির মোল্লা-সহ কয়েক জন দলীয় কর্মী পৌঁছে দেখেন, কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। দল সূত্রের দাবি, রহমতদের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ চলছে কয়েক মাস ধরে। পার্টি অফিসে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর পরে পাল্টা তালা ঝুলিয়ে এলাকা ছাড়েন ওই কর্মীরা।

দলের এই কোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই দু’পক্ষকে আজ, মঙ্গলবার ডেকেছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়। আবু বক্কারদের দাবি, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় কয়েকটি গ্রামের কর্মীরা আসেন ওই পার্টি অফিসে। এ দিন বিকেলে রহমতের নেতৃত্বে সেখানে তালা লাগিয়ে দেন তাঁর ভাই কেরামত। তালা না খুলতে দেখে আমরাও একটি তালা লাগিয়ে দিয়েছি।” অভিযোগ উড়িয়ে রহমতের বক্তব্য, “বিকেলে কেউ পার্টি অফিসে ছিলেন না। তাই তালা দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন ওঁরা পার্টি অফিসে তালা ঝোলালেন, বলতে পারব না। ব্লক নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।” ব্লক সভাপতি বলেন, “দু’পক্ষকেই ডেকেছি। আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement