এসডিও অফিসে অভিযোগ জানানোর পরে সস্ত্রীক রাধেশ্যাম। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
সম্পত্তির লোভে ছেলে ও বৌমা তাঁদের মারধর করেছেন বলে কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন বাবা-মা। ঘটনাটি কাটোয়ার পানুহাটের।
পানুহাট দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা, বছর তেষট্টির রাধেশ্যাম কুশমেট প্রাক্তন সরকারি কর্মী। বছর তিনেক আগে তিনি অবসর নিয়েছেন পূর্ত দফতর থেকে। তার পরে দিঘিরপাড়ে একতলা পাকা বাড়ি তৈরি করেন। সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে তাঁর লিখিত অভিযোগ, বাড়িটি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য এবং তাঁর পেনশনের টাকা কেড়ে নিতে বছরখানেক ধরে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদেবীর ফরে চাপ সৃষ্টি করেছেন তাঁদের ছেলে বাবুসোনা। মারধর ও গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বছর চল্লিশের বাবুসোনা পেশায় টোটোচালক। এ দিন মহকুমাশাককের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে রাধেশ্যামবাবুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগেই ছেলেকে ফার্নিচার ও টোটো কিনে দিই। একটা মোটরবাইকও দিই। তার পরেও ছেলে তার মাকে চুল ধরে টেনে ঘুষি মেরেছে। আমাকেও মারধর করেছে। আমাদের বারও করে দিয়েছে।’’ খুঁড়িয়ে হাঁটতে হাটতে অভিযোগ করতে আসা কৃষ্ণাদেবীর চোখে জল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ছেলে আমাদের খেতে দেয় না। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা এখন কোথায় যাব!’’
মহকুমাশাসকের কাছে ওই বৃদ্ধ দম্পতি অভিযোগ করেছেন, গত শুক্রবার কৃষ্ণাদেবীকে মারধরের পরেই তাঁরা পাড়ায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ দিন তাঁদের মেয়ে বন্দনা বাগ বলেন, ‘‘বাবা-মা দাদা-বৌদির কাছে খেতে চায়নি। বাবার পেনশনের টাকাতেই ওদের চলে যায়। কিন্তু, নিজের বাড়িতেও ওদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।’’ যদিও বাবা-মায়ের অভিযোগের প্রসঙ্গে বাবুসোনার বক্তব্য, ‘‘যা বলার, আমি আদালতে বলব।’’