Asansol

শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ নেই, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার সকালে আসানসোল পুরসভার প্রেক্ষাগৃহে পুরসভার দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমূল হককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মেয়র বিধান উপধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ০৯:৪২
Share:

দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমূল হক। নিজস্ব চিত্র

আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়রদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম পুর-প্রতিনিধিদের অভিযোগ, পুরসভার এ রকম একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যটুকুও দেখালেন না তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের কর্তারা। যদিও প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন, মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও অধ্যক্ষ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার সকালে আসানসোল পুরসভার প্রেক্ষাগৃহে পুরসভার দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমূল হককে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মেয়র বিধান উপধ্যায়। নতুন পুরবোর্ড গঠন হওয়ার প্রায় দেড় বছরের মাথায় দুই ডেপুটি মেয়রের শপথগ্রহণ পর্ব হল। এতদিন আইনি জটিলতার কারণে আটকে ছিল তাঁদের শপথগ্রহণ। বোর্ড গঠনের সময়েই ডেপুটি মেয়রেরা শপথ নিতে পারেননি বলে বিরোধীরা প্রায়ই ‘খোঁচা’ দিয়ে এসেছেন। বুধবারও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে বিরোধীরা অসৌজন্যতার অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা গোলাম সরওয়ার মন্তব্য করেন, “সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছ থেকে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা জেনেছি। পুরকর্তৃপক্ষ একটা আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানাননি।” কটাক্ষ করেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী, বিজেপির চৈতালি তিওয়ারি। তিনি বলেন, “ওঁদের সামান্য সৌজন্যবোধ নেই। এটাই আশা করি।” তবে তাঁর সংযোজন: আসানসোলবাসীর মঙ্গলের জন্য কাজ করলে, তাঁরা সাহায্য করবেন। অন্য দিকে, সিপিএম পুর-প্রতিনিধি নারায়ণ বাউড়ি দাবি করেন, “মোবাইল ফোনে দায়সারা একটি মেসেজ করা হয়েছিল। যা অত্যন্ত অপমানজনক। তাই উপস্থিত না হওয়াই শ্রেয় মনে করেছি।”

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মেয়র বিধান দাবি করেন, “আমি জানি প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু এর পরেও এই অভিযোগ তোলা উচিত নয়।” অধ্যক্ষ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “প্রত্যেক পুর-প্রতিনিধিকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”

Advertisement

এ দিন দুপুর ১২টার কিছু পরে শপথগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। শপথ নেওয়ার পরে অভিজিৎ ঘটক বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানটি নিছকই ধরাবাঁধা নিয়মেরই অঙ্গ। কারণ, বোর্ড গঠনের পরেই আমরা পুর-পরিষেবার কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। কিছু আইনি জটিলতা ছিল। তাই শপথ নিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।” ওয়াসিমূল হক জানান, দেরিতে হলেও, আইনের গণ্ডিতে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ দিন পুরসভার তৃণমূলের প্রায় সব পুর-প্রতিনিধি ও মেয়র পারিষদেরা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement