রমনাবাগান চিড়িয়াখানায় হরিণের দল।— নিজস্ব চিত্র।
কুমির-হরিণ-ময়ূর— যেমন চাইবেন, খরচ পড়বে বার্ষিক দশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। সম্বৎসরের জন্য এরা হতে পারে আপনার নেওয়া দত্তক-পোষ্য।
আলিপুর চিড়িয়াখানার পথে এ বার বর্ধমানের রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক। বছর সাতেক আগে আলিপুর চি়ড়িয়াখানায় সেই দত্তকের ‘হ্যাপা’ অবশ্য এখনও মাঝে মধ্যে পোহাতে হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। আসছে অনুরোধ— ‘সারা বছরের টাকা তো জোগাচ্ছি, এক বার বাড়ি নিয়ে যেতে পারব না’!
রমনাবাগানের কর্তারা তাই বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গেই জানিয়ে দিচ্ছেন, দত্তক নেওয়া পশু-পাখির ঠিকানা কিন্তু বদলাবে না। সে শর্ত মেনে দত্তক নিতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা নিছক কোনও পশুপ্রেমী বন দফতরের বর্ধমান ডিভিশনের আধিকারিক বিজয়কুমার শালিমঠের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রমনাবাগান জানাচ্ছে, সরকারি অনুদানের টাকায় পশু-পাখিদের খাবার, দেখভালের খরচ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই আলিপুর চিড়িয়াখানার দেখানো রাস্তায় হেঁটে কিঞ্চিত সুরাহার পথ খোঁজা হচ্ছে। বিজয়কুমার বলছেন, “খোঁজ-খবর নিচ্ছেন অনেকেই। তবে কোনও সংস্থা এখনও এগিয়ে আসেনি।” এই পরিস্থিতিতে হাল ছাড়ছেন না তাঁরা। ‘জু অ্যানিম্যালস অ্যাডপশন স্কিম’ শীর্ষক একটি বই বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু দত্তক নিলে মিলবে কী? আয়কর ছাড়, উপরি পাওনা মাসে এক দিন নিখরচায় ‘পালক’-সহ ৪ জনের রমনাবাগানে দিনভর বেড়ানোর সুযোগ।