National Highway

Kalipahari Road: একটি লেন দিয়েই চলে দু’দিকের গাড়ি

আসানসোলের মূল শহর থেকে দূরপাল্লার যানবাহনগুলিও এই মোড় দিয়েই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২৭
Share:

n২ নম্বর জাতীয় সড়কে কালীপাহাড়িতে দেখা যাচ্ছে এমনই পরিস্থিতি। ছবি: পাপন চৌধুরী

তৈরি হয়নি উড়ালপুল ও সার্ভিস রোড। ফলে, একটি লেন ধরেই যাতায়াত করছে দু’দিকের যানবাহন। বিপজ্জনক ভাবে রাস্তা পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারী এবং স্কুটার ও মোটরবাইক চালকেরা। এই পরিস্থিতিতেই বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে আসানসোলের কালীপাহাড়ি মোড় লাগোয়া এলাকায়, এমনই দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার দুপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের এই এলাকায় মোটরবাইক ও ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যুর পরে, ফের এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে আসানসোলে।

Advertisement

মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা দেখেছেন, কালীপাহাড়ি মোড় লাগোয়া ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধানবাদগামী লেনের উড়ালপুলটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মোড় লাগোয়া সার্ভিস রোডটিও তৈরি হয়নি। ফলে, কলকাতাগামী লেন দিয়েই দু’দিকের গাড়িকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুলিশ জানায়, জাতীয় সড়কে সাধারণত গাড়ি, ট্রাক অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলাচল করে। ফলে, দৃশ্যমানতার অভাব ঘটলে অনেক সময়েই গাড়ির গতি আন্দাজ করা সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতিতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সদর) অংশুমান সাহা বলেন, “উড়ালপুল এবং সার্ভিস রোড তৈরির জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বহু বার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছে না।”

অথচ, কালীপাহাড়ি মোড় এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল। পাশাপাশি, আসানসোলের মূল শহর থেকে দূরপাল্লার যানবাহনগুলিও এই মোড় দিয়েই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় সড়কের উপরে দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ট্র্যাফিক পুলিশকে, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের।

Advertisement

কিন্তু কেন উড়ালপুল নির্মাণ শেষ হয়নি, সার্ভিস রোডটিই বা তৈরি হয়নি কেন, সে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বারওয়াড্ডার প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত জানান, কালীপাহাড়ি মোড় লাগোয়া এলাকায় ডিভিসি-র একটি টাওয়ার আছে। সেটি স্থানান্তর করা না হলে উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হবে না। মলয় বলেন, “আমরা ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাওয়ার সরানোর খরচের হিসেব চেয়েছি। সে খরচও আমরাই বহন করব।” বিষয়টি নিয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই টাওয়ারটি সরানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত জটিলতা রয়েছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে।

পাশাপাশি, মলয়ের সংযোজন: “কালীপাহাড়ি মোড় লাগোয়া একটি সার্ভিস রোড তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। জমির মালিকেরা টাকাও পেয়ে গিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে সার্ভিস রোডটি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে কালীপাহাড়ি মোড় লাগোয়া এলাকায় একটি আন্ডারপাসও তৈরি করা
হতে পারে।

প্রমোদ সিংহ নামে এক বাসিন্দার অবশ্য প্রতিক্রিয়া, “সার্ভিস রোড ও উড়ালপুল নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শুনে আসছি আমরা। তাই না আঁচানো পর্যন্ত বিশ্বাস নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement