এখন মাছি তাড়ানোর অবস্থা। —নিজস্ব চিত্র।
ক’দিন আগেও কিসানমান্ডিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না। ভোর থেকে আলু কেনার জন্য লাইন পড়ছিল। বেলা যত গড়াচ্ছিল, ততই ভিড় বাড়ছিল। লাইন লম্বা হচ্ছিল। সরকারি সহায়ক মূল্যের কাউন্টারে আলু দিতে হিমসিম খাচ্ছিলেন কর্মীরা। সরকারি সহায়ক মূল্যে ভাতারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রায় এক মাস ধরে। কিন্তু এখন, সহায়ক মূল্যের থেকে খোলাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দামে। ফলে গত তিন দিন ধরে সহায়ক মূল্যে আলু কিনতে কেউই আর স্টলে যাচ্ছেন না। সরকারি কাউন্টারে কর্মীদের এখন তাই মাছি তাড়ানোর অবস্থা।
সরকারি ভাবে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা। কিন্তু খোলাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহখানেক আগেও খোলা বাজারে আলু ছিল মহার্ঘ। জ্যোতি আলুর বাজারে দাম ছিল ৪৫ টাকা কেজি। কিন্তু এখন উল্টো হয়ে গিয়েছে। তাই সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু না কিনে খোলাবাজার থেকেই আলু কিনছেন সাধারণ মানুষ।
কৃষক বাজারের দায়িত্বে থাকা শেখ হায়দার বলেন, ‘‘খোলা বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়াতেই আমাদের কাউন্টারে আলু কেউ কিনছে না। তিন দিন ধরে আসছে না কেউই। বিষয়টি আমি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
যখন খোলা বাজারে আলুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া, ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হচ্ছিল, তখন সরকারি সহায়ক মূল্য আলু পাওয়া যাচ্ছিল ২৫ টাকায়। আর এখন সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। সেখানে ভাতার বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা প্রতি কেজি। স্থানীয় বাসিন্দা যোগীরাজ সাধু বলেন, ‘‘এখন খোলা বাজারে আলুর দাম কমে গিয়েছে। ১৬ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া বাজারে দেখে ও বেছে আলু কিনতে পারছি। তাই সবাই খোলা বাজারেই আলু কিনছে।’’ একই মত স্থানীয় বাসিন্দা দিবেন্দু সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘যেখানে খোলা বাজারে আলুর দাম কমে গিয়েছে, সেখানে সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। কেন কিনতে যাব!’’