‘নির্মল অভিযান’ শুরু পুরসভার

গ্রামে-গ্রামে প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ শুরু হয়েছে আগেই। দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত ব্লকগুলিতেও জোরকদমে সেই অভিযান ও প্রচার চলছে কয়েক মাস ধরে। এ বার শহরেও ‘নির্মল অভিযানে’ নামার কথা ঘোষণা করলেন পুর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:৪০
Share:

গ্রামে-গ্রামে প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ শুরু হয়েছে আগেই। দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত ব্লকগুলিতেও জোরকদমে সেই অভিযান ও প্রচার চলছে কয়েক মাস ধরে। এ বার শহরেও ‘নির্মল অভিযানে’ নামার কথা ঘোষণা করলেন পুর কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বর্ধমানকে ‘নির্মল জেলা’ করে তুলতে চায়।

Advertisement

দুর্গাপুর পুরসভায় মোট ৪৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। সাধারণত বস্তিগুলিতে ব্যক্তিগত শৌচাগারের বেশ অভাব। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট বস্তির সংখ্যা ৩২০টি। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, গত তিন বছরে পুরসভার শহরে মোট ২২১টি কমিউনিটি শৌচাগার গড়া হয়েছে। এ ছাড়া নানা কারণে বহু শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। পুরসভা সেগুলিরও সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলেছে। তার পরেও সগড়ভাঙা ডেয়ারি মোড় বস্তি, ইস্পাতপল্লি লাগোয়া বস্তির মতো শহরের বেশ কিছু জায়গায় কমিউনিটি শৌচাগার নেই বলে অভিযোগ।

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে প্রতি ওয়ার্ডে আরও চারটি করে কমিউনিটি শৌচাগার গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত তিন মাস ধরে সমীক্ষা করে শৌচাগার নেই এমন প্রায় ২২ হাজার বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। শৌচাগার গড়তে তাদের ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে ৯ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এক হাজার টাকা দিতে হবে পরিবারটিকে। এ ছাড়া প্রকাশ্যে শৌচকর্ম রুখতে ও সচেতনতা গড়তে ভোরবেলায় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ‘লজ্জা যাত্রা’ বের করা হচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। শৌচাগার থাকলেও অনেকে তা ব্যবহার না করে মাঠেঘাটে যেতে পছন্দ করেন বলে অভিযোগ। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, এত কিছুর পরেও যদি কেউ প্রকাশ্যে শৌচকর্ম শ্রেয় মনে করেন তাঁদের পুরসভার শংসাপত্র, রেশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা হতে পারে। তবে কড়া পদক্ষেপ নয়, সচেতনতা গড়েই তাঁরা কাজ হাসিল করার পক্ষপাতী বলে মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement