রানিসায়ের এলাকায় আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র
বেশিরভাগ সার্ভিস রোড বেহাল। নানা জায়গায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে এমন বেশ কিছু অভিযোগ উঠছে। শনিবার জামুড়িয়ার চাঁদা মোড় থেকে রানিগঞ্জের বক্তারনগর মোড় পর্যন্ত এই রাস্তার অবস্থা ঘুরে দেখলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের (এনএইচএআই) আধিকারিকেরা।
পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি অংশে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগ। তার পরেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আসানসোল থেকে দুর্গাপুরের রাজবাঁধ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিন পরিদর্শনের সময়ে সঙ্গে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকেরা।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের কালিপাহাড়ি মোড় থেকে বেশিরভাগ অংশের সার্ভিস রোড বেহাল। কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছে সার্ভিস রোড তৈরিই করা হয়নি। চাঁদা মোড়, রানিসায়ের মোড়ে এক দিকের সার্ভিস রোড তৈরি হয়নি। মঙ্গলপুর উড়ালপুলের নীচে আন্ডারপাস দিয়ে বড় গাড়ি পারাপার করতে অনেক সময় লাগে। নিঘা মোড়, শ্রীপুর মোড় ও সাতগ্রাম ফটকের কাছে ডিভাইডার কেটে বিপজ্জনক ভাবে পার হন পথচারীদের অনেকে। সাতগ্রাম ফটক, ডহর-সহ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা থেকে ব্যারিকেড নিজেদের সুবিধামতো সরান বাসিন্দাদের একাংশ।
বাসিন্দাদের দাবি, বেশিরভাগ অংশে সার্ভিস রোড অসম্পূর্ণ থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে পারাপার করেন। এ ছাড়াও অভিযোগ, বক্তারনগর, মঙ্গলপুর, রানিসায়ের ও চাঁদা উড়ালপুলের উপরে বেশিরভাগ আলো জ্বলে না। চাঁদা মোড়ে এক দিকে সার্ভিস রোড তৈরির কাজ জমিজটে আটকে থাকায় সে দিকে কেউ যেতে পারেন না। এই মোড়ে ‘ফুট ওভারব্রিজ’ তৈরি করা জরুরি বলে দাবি পথচারীদের। চাঁদা ও রানিসায়ের মোড়ে সংযোগকারী রাস্তার সংযোগস্থল ভেঙেচুরে গিয়েছে। এই দুই মোড়েই ‘হাইমাস্ট’ আলো জ্বলে না। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’পাশে পথবাতি নেই।
এ দিন পরিদর্শন করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, সমস্যাগুলি মেটানো হবে। আরও কয়েকদিন ধরে সড়কে নিরীক্ষণ চলবে।