ত্রিফলা স্তম্ভ বাতিশূন্য, কোনওটা ভাঙা। আবার অন্য বাতিস্তম্ভে সিএফএল আলো থাকলেও জমে থাকা পোকা, নোংরায় আলো আবছা। এ বার শহরে আলো করতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হাই-মাস্ট বাতি বসাচ্ছে কালনা পুরসভা। শহরের পাঁচটি মোড়ে বাতি বসানো হয়ে গিয়েছে। আরও পাঁচটি মোড়ে বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। পুরো প্রকল্পের খরচ ৫০ হাজার টাকা। পুরসভার দাবি, শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিটিভিও বসানো হবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত আলো না থাকায় এত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন থাকা সত্ত্বেও এ শহরে রাত কাটাতে চান না পর্যটকেরা। সৌন্দর্যায়নের কথা ভেবে বছর চারেক আগে তেঁতুলতলা মোড়, ১০৮ শিবমন্দির চত্বর, মহাপ্রভু পাড়া-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ত্রিফলা বাতি লাগানো হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু হয় তা ভেঙে গিয়েছে, নয় আলো জ্বলে না সেখানে। আবার সিএফএল আলোগুলোর মুখে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন থাকায় পোকা জমে তা আবছা হয়ে গিয়েছে বলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ। নিয়মিত সংস্কার হলে শহরের আলোর হাল এমন হত না বলেও তাঁদের দাবি। আলোর স্বল্পতা মেটাতে এ বার ৪০ ফুটের বেশি উঁচু হাই-মাস্ট আলো লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। খেয়াঘাট, বৈদ্যপুর মোড়, কলেজ মোড়, তেঁতুলতলা-সহ পাঁচটি জায়গায় বাতিস্তম্ভ বসানোও হয়ে গিয়েছে। খরচ হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। ১০৮ শিবমন্দির-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় ওই আলো বসবে বলেও পুরসভার দাবি। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘হাই-মাস্ট আলো জ্বলতে শুরু করলে শহরে আর আলোর ঘাটতি থাকবে না।’’
এর সঙ্গে রাত বাড়লে শহর জুড়ে মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য, মদ, গাঁজা, হেরোইনের কারবার চলার যে অভিযোগ ওঠে সিসিটিভি বসলে তা অনেকখানিই সামাল দেওয়া যাবে বলে পুরসভার দাবি। দেবপ্রসাদবাবু জানান, আপাতত চারটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসবে। তা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে পুলিশকে। এতে দুষ্কর্ম অনেকটাই বন্ধ হবে বলেও তাঁর দাবি।