নজর নেই, আলো জ্বালা ইচ্ছেমতো

কেউ মানছেন। কিন্তু অনেকেই মানছেন না। নিয়ম লাগু করতে প্রশাসনিক নজরদারিও চোখে পড়েনি। রাস্তায় নামা দু’চাকার গাড়ির হেডলাইট জ্বেলে রাখতে কেন্দ্রের নির্দেশিকার ক্ষেত্রে শিল্পাঞ্চলে চোখে পড়ছে এমন ছবিই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩১
Share:

নিয়মমাফিক: কেউ আলো জ্বালছেন, কেউ জ্বালছেন না। নিজস্ব চিত্র

কেউ মানছেন। কিন্তু অনেকেই মানছেন না। নিয়ম লাগু করতে প্রশাসনিক নজরদারিও চোখে পড়েনি। রাস্তায় নামা দু’চাকার গাড়ির হেডলাইট জ্বেলে রাখতে কেন্দ্রের নির্দেশিকার ক্ষেত্রে শিল্পাঞ্চলে চোখে পড়ছে এমন ছবিই।

Advertisement

পথ দুর্ঘটনা কমাতে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। শনিবার দুর্গাপুরে বেনাচিতি বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, কয়েক হাজার মোটরবাইকের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি আলো জ্বালিয়ে চলছে। সিটি সেন্টার এলাকায় গড়ে পাঁচটি মোটরবাইকের একটিকে দেখা গিয়েছে নিয়ম মানতে। যাঁরা আলো জ্বালিয়েছেন, সেই আরোহীরা জানান, প্রশাসনের নজরদারির জন্য ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে রবিবার থেকে ছবিটা খানিক পাল্টেছে। মহাত্মা গাঁধী রোড বা ৫৪ ফুট রোডে আলো জ্বেলে যেতে দেখা গিয়েছে অনেক আরোহীকেই। তবে অনেককে সামনে পুলিশের গাড়ি দেখে দ্রুত আলো জ্বেলে ফেলতেও দেখা যায়। পরে আবার তাঁরা আলো নিভিয়ে ফেলেন। একই ধরনের দৃশ্য দেখা গিয়েছে আসানসোলেও।

চালকেরা জানান, নতুন মোটরবাইক তৈরিই হচ্ছে বিশেষ প্রযুক্তির আলোর ব্যবস্থা নিয়ে। ফলে সারা দিন জ্বললেও ব্যাটারি বা আলোয় কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু পুরনো বহু গাড়ির আলোর জোর কম। অনেকের ব্যাটারির আয়ুও কম। ফলে, সেই সব মোটরবাইক বা স্কুটিতে সারা দিন আলো জ্বাললে ব্যাটারির আয়ু কমবে। ডিএসপি টাউনশিপের অচিন্ত্য ভৌমিক বলেন, ‘‘রাতেই আমার মোটরবাইকের হেডলাইট থেকে তেমন জোরালো আলো পাই না। সারা দিন জ্বললে বেশি দিন টিকবে বলে মনে হয় না।’’

Advertisement

দুর্গাপুরের কলেজ পড়ুয়া বিশাখা বিশ্বাস স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময়ে বলেন, ‘‘হয়তো ব্যাটারির আয়ু একটু কমবে। কিন্তু দুর্ঘটনা যদি কমে তো আলো জ্বালালে ক্ষতি কি!’’ স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ পোড়েলে প্রতিদিন ডিএসপি টাউনশিপ থেকে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক দিয়ে বেশ কিছুটা যেতে হয় আমাকে। টানা গাড়ি চালালে অনেক সময়ে মনযোগে ঘাটতি হয়। দিনেও আলো জ্বললে দূর থেকে সামনের গাড়ি নজরে আসে।’’

অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার দুর্গাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সমীর বসুর মতে, ‘‘চার চাকাতেও এমন নিয়ম চালু করা দরকার। তবে নিয়ম চালু করলেই হবে না। প্রশাসনকে কড়া নজরদারিও চালাতে হবে। তবেই ফল মিলবে।’’ মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘কড়াকড়ি ও সচেতনতা, নতুন নিয়মে চালকদের সড়গড় করে তুলতে দু’ভাবেই চেষ্টা শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement