উদ্ধারকাজ চালানোর সময়।—ফাইল চিত্র
নকশা চেয়ে মেলেনি। এ ধরনের কাজে সে ভাবে ছিল না পূর্ব অভিজ্ঞতাও। কুলটির আলডিহিতে অবৈধ খাদানে উদ্ধারকাজ চালাতে এসে এমনটাই জানিয়েছিলেন এনডিআরএফ-এ ডেপুটি কমান্ডান্ট অভয়কুমার সিংহ। কিন্তু তার পরেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা ১৬ ঘণ্টার ‘নিখুঁত অপারেশন’। আর তাতেই ‘সাফল্য’। উদ্ধার করা সম্ভব হয় আকনবাগানের নিখোঁজ তিন যুবকের দেহ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কাজ শুরুর আগে অভয়বাবু প্রথমে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের নকশা চান। কিন্তু অবৈধ খাদানের নকশা মেলা অসম্ভব, তা এনডিআরএফ-কে জানানো হয়। তখনই ডাক পড়ে ঘটনার দিন বেঁচে ফেরা এক যুবকের। তাঁর মুখ থেকে খনির বিবরণ শুনে মোটামুটি একটা নকশা তৈরি করা হয় বলে এনডিআরএফ সূত্রে খবর।
এর পরে অবৈধ খাদান-মুখ থেকে পার্শ্ববর্তী ২৫ মিটার ব্যাস এলাকার মাটি কেটে সমতল করা হয়। খাদান-মুখে পাখা লাগিয়ে ভিতরে থাকা হাইড্রোজেন সালফাইড ও কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বার করে উদ্ধারকারী দলের দু’জন খাদানে ঢোকেন। তাঁরাই প্রথম দেখেন সুড়ঙ্গ-পথ। শুরু হয় নকশা মিলিয়ে সমতল করা ভূপৃষ্ঠে গর্ত খুঁড়ে বিকল্প সুড়ঙ্গ খোঁড়া। পরপর দু’টি আড়াই ফুট ব্যাসের সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মূল সুড়ঙ্গে ঢোকেন উদ্ধারকারীরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সুড়ঙ্গ থেকে প্রথম দেহ বার করা হয়। তার পরে ধীরে ধীরে বাকি দু’টি দেহ।
এই উদ্ধারকাজের পরে এনডিআরএফ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সহকর্মী ও গোটা দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তৃপ্ত অভয়বাবুও বলেন, ‘‘নতুন অভিজ্ঞতা হল। খুবই চ্যালেঞ্জের ছিল।’’