Nail

গাছের গায়ে পেরেক, প্রশ্ন জন-সচেতনতা নিয়ে

সম্প্রতি আসানসোল আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, গাছের গায়ে মোটা গজাল দিয়ে পাটাতন গেঁথে রড বাঁকানোর কাজ চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০২:১১
Share:

আসানসোল কোর্ট চত্বরে পাটাতন রেখে চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেকে একটি করে গাছ লাগান। শুক্রবার, ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’-এর আগে এমনই আর্জি বন এবং পরিবেশ দফতরের। পাশাপাশি, গাছের গায়ে বোর্ড ঝোলানো বা পেরেক মারার প্রবণতা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জিও উঠেছে। এ বিষয়ে গণ-সচেতনতা তৈরির কথাও বলা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি আসানসোল আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, গাছের গায়ে মোটা গজাল দিয়ে পাটাতন গেঁথে রড বাঁকানোর কাজ চলছে। আসানসোল থেকে বরাকর পর্যন্ত জিটি রোডের দু’ধারে গাছের গায়ে গজাল ও পেরেক গেঁথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার ব্যানার, বোর্ড টাঙানো রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মী অমৃতকুমার দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই প্রবণতা সম্প্রতি বেড়েছে। গাছের ক্ষতি হচ্ছে। সব জেনেও প্রশাসন চুপ। আমরা একাধিক বার বন এবং পরিবেশ দফতরের কাছে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’’

যদিও ডিএফও (দুর্গাপুর) মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ঠিকই। গাছের গা থেকে আমরা অনেকবার বোর্ড খুলেছি। যাঁরা বোর্ড লাগিয়েছেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’’ তবে মিলনকান্তিবাবুর সংযোজন: ‘‘যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় পুরসভা ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হলে এই প্রবণতা রোখা সম্ভব।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (আসানসোল) স্বরূপ মণ্ডলের অবশ্য মতামত, ‘‘আইন করে এই প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা গণ-সচেতনতা তৈরিতে জোর দিচ্ছি। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন, স্কুল-কলেজের ‘ইকো-ক্লাব’গুলির মাধ্যমে প্রচারে উদ্যোগী হয়েছি।’’

তবে আসানসোল পুরসভার দাবি, মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে শহরের অবৈধ ব্যানার, বোর্ড, পোস্টার খুলে নেওয়া হয়। আইনি পদক্ষেপ প্রসঙ্গে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘পুরসভার পরিবেশ দফতরকে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।’’

এর পাশাপাশি, স্বরূপবাবু ও মিলনবাবুদের আর্জি, ‘‘আমরা আঞ্চলিক স্তরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শহরবাসীর কাছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবসে’র দিনে একটি করে গাছ রোপণ করার আর্জি জানিয়েছি।’’ সেই সঙ্গে তাঁরা জানান, প্রতি বছর এই দিন বন এবং পরিবেশ দফতর নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। কিন্তু এ বার ‘করোনাভাইরাস’ ও ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক ভাবে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ভাবে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement