একই কারখানায় আলাদা ইউনিয়ন নিয়ে নীরব মলয়

নেতারা নন, কারখানায় সংগঠনের যে ইউনিয়ন রয়েছে তার সম্পাদক ঠিক করবেন কর্মীরাই— দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডে (ডিপিএল) আইএনটিটিইউসি-র এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জেলা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তবে কারখানায় সংগঠনের দু’টি আলাদা ইউনিয়ন থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০০
Share:

ডিপিএলে মলয় ঘটক।

নেতারা নন, কারখানায় সংগঠনের যে ইউনিয়ন রয়েছে তার সম্পাদক ঠিক করবেন কর্মীরাই— দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডে (ডিপিএল) আইএনটিটিইউসি-র এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জেলা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তবে কারখানায় সংগঠনের দু’টি আলাদা ইউনিয়ন থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না তিনি।

Advertisement

ডিপিএলে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি সংগঠন রয়েছে— একটি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন দেওয়া ‘ডিপিএল এমপ্লয়িজ অ্যাসেসিয়েশন’ এবং অন্যটি পূর্ণেন্দু বসুর অনুমোদন দেওয়া ‘ডিপিএল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’। কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া কাগজপত্র অনুযায়ী এখন আইএনটিটিইউসি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ‘ডিপিএল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা আলোময় ঘরুই। এ দিন মলয়বাবুর বক্তব্য কার্যত পূর্ণেন্দুবাবু অনুমোদিত সংগঠনকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছেন আইএনটিটিইউসি নেতা-কর্মীদের একাংশ।

ডিপিএলে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি সংগঠন রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। তাদের মধ্যে মাঝে-মাঝেই কোন্দল বাধে। একাধিক বার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ‘ডিপিএল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক দেবদাস মজুমদারের অনুগামীদের সঙ্গে সংগঠনের অন্যতম নেতা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর বিবাদও প্রকাশ্যে এসেছে। এর ফলে সংস্থায় কাজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবার। এ বছর জানুয়ারির শুরুতে দুর্গাপুর সাংস্কৃতিক মেলা আয়োজন নিয়ে অবশ্য বিবাদ সাময়িক মিটে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এমন হয় যে দেবদাসবাবু সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। মেলা কমিটির দায়িত্ব নেন তাঁর এক সময়ের অনুগামী আলোময় ঘরুই। কিন্তু মেলা শেষ হতেই ফের শুরু হয় বিবাদ। তাঁর কর্তৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করে সংগঠনের অন্য অংশ। তবে রবিবার মলয়বাবু সাফ জানিয়ে দেন, কর্মিসভায় যোগ দিয়ে তিনি কর্মীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাননি। তাই আলোময়বাবুই ডিপিএলের আইএনটিটিইউসির দায়িত্বে থাকবেন। কারখানায় সংগঠনের দু’টি ইউনিয়ন থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও মলয়বাবু বলেন, ‘‘শ্রমিকেরাই ঠিক করে দেন, ইউনিয়নের সম্পাদক কে হবেন। আমরা তো ঠিক করে দিতে পারি না।’’

Advertisement

মলয়বাবু এ দিন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের কাছে যে কাগজ জমা পড়েছে সেখানে আলোময় ঘরুইয়ের নাম রয়েছে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। দায়িত্বে আগে যিনি ছিলেন তিনি অবসর নিয়েছেন। আগের কমিটির লোকেরাই এই কমিটিতে রয়েছেন।’’ তিনি আরও দাবি করেন, কর্মিসভা থেকে শ্রমিকদের তরফে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ বা অনুযোগ তিনি শোনেননি। ‘ডিপিএল এমপ্লয়িজ অ্যাসেসিয়েশন’-এর এক নেতা অবশ্য বলেন, ‘‘দলের তরফে বারবার এক কারখানায় একটিই সংগঠন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তব করার উদ্যোগ এ দিন নজরে এল না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement