খবর পেয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করল কাটোয়া চাইল্ডলাইন ও স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার ঘটনাটি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের ঘটনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার কালীগঞ্জের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অগ্রদ্বীপের বাবলাতলার বছর চব্বিশের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। খবর পেয়ে রবিবার রাতে সেখানে পৌঁছে গেলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ফিরে আসতে হয় নদিয়া চাইল্ডলাইনের কর্তাদের। সোমবার সকালে ওই নাবালিকাকে অগ্রদ্বীপে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে তা কাটোয়া চাইল্ডলাইনকে জানানো হয়। এ দিন সকালে দাঁইহাট ফাঁড়ির পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার সুদর্শন মজুমদার। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে আইন বিরুদ্ধ, ছাত্রীর পরিবারকে বোঝান সুদর্শনবাবুরা। প্রথমে রাজি না হলেও পরে ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে না দেওয়ার কথা মেনে নেন। নাবালিকার বাবা এই মর্মে একটি মুচলেকাও লিখে দেন বলে জানান চাইল্ড লাইনের কর্তারা। চাইল্ড লাইনের কাটোয়া শাখার আধিকারিক প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন যায়গায় নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ঘটনা চলছেই। বিয়ে রুখতে ছাত্রীরা নিজেরাই হেল্পলাইন ১০৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারে।’’
কাটোয়া ২ বিডিও শিবাশিস সরকার জানান, ওই নাবালিকা তাঁর পরিবারের কাছে নিরাপদে রয়েছে।