ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ডাক্তারি ছাত্র

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৪
Share:

স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বরণডালা গ্রামের বাসিন্দা এক ডাক্তারি ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত মহিবুল শেখ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া।

Advertisement

মন্তেশ্বর থানার পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বছর উনিশের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী অভিযোগে দাবি করেন, আড়াই বছর ধরে মহিবুলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। পরে দু’জনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের দু’জনের সম্পর্কের কথা উভয়ের পরিবার জানত বলেও দাবি মন্তেশ্বরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর। ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করার কথা বললে, মহিবুল দাবি করেন, তাঁর ডাক্তারি পড়ার খরচ দিতে হবে। মেয়েটির বাবা তাতে রাজিও হন বলে পুলিশ জানায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক বছর আগে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে ফের সম্পর্কে জড়ান মহিবুল। সে কথা জানতে পেরে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। সেই সময়ে মহিবুল ‘ভুল হয়েছে’ বললে তখনকার মতো সমস্যা মেটে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ছাত্রীটি বুধবার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরেও বিয়ে করতে চাননি মহিবুল। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে ছাত্রীর অভিযোগ।

পুলিশের দাবি, জেরায় ওই ডাক্তারি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও সহবাসের কথা স্বীকারও করেছেন। শুধু তাই নয়, এ দিন আদালতে যাওয়ার পথে মহিবুল দাবি করেন, ‘‘শরিয়তি বিধি মেনে আমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রেজিস্ট্রি করার জন্য ওদের পরিবার চাপ দিচ্ছিল।’’ মহিবুলের পরিবারের দাবি, রেজিস্ট্রির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছিলেন মহিবুল। আদালতে যাওয়ার পথে মহিবুল আরও দাবি করেন, তাঁকে অহেতুক সন্দেহ করতেন ওই ছাত্রী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানি না। এই শুনলাম। খোঁজখবর নিচ্ছি।’’

ধৃতের আইনজীবী পার্থসারথী কর দাবি করেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে মহিবুলকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ এ দিন কালনা এসিজেএম আদালতে অভিযুক্তকে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩ মার্চ আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement