ছাড়া হচ্ছে মাছ। নিজস্ব চিত্র
খালবিল উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বাঁশদহ বিলে ছাড়া হল প্রচুর চারাপোনা। শনিবার ছিল উৎসবের শেষ দিন। মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরা চারা মাছ নিয়ে আসেন। এর মধ্যে প্রচুর মনিপুরী পেঙবা মাছ ছিল। বিলের জলে মাছ ছেড়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, এই মাছের স্বাদ ইলিশের মতো। বিলের মিষ্টি জলে দ্রুত বড় হবে এই মাছ। ভবিষ্যতে বাঁশদহ বিলে আরও পেঙবা মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্বাদু এই মাছের চাষ মঙ্গলকোট, মেমারি ২, আউশগ্রাম ২ ও পূর্বস্থলী ১ ব্লকে শুরু হয়েছে। এ দিন পেঙবা মাছের সঙ্গেই জলাশয়ে ছাড়া হয় ২০ কেজি শিঙি ও প্রায় ২ কুইন্টাল রুই-কাতলার চারা। পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘বিল থেকে মৎস্য চাষিদের মাছ পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্যই এমন উদ্যোগ।’’ এ দিন বাঁশদহ বিলে একটি ডিঙি বাইচ প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হয়। উৎসব কমিটির তরফে প্রতিযোগীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বিলের জলে প্রদীপ ভাসিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।