—প্রতীকী চিত্র
বিদেশি ‘বান্ধবীর’ পাঠানো ডলার ছাড়াতে গিয়ে একটি ক্যুরিয়র সংস্থাকে দু’দফায় লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিলেন যুবক। তার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ ওই সংস্থা ও বান্ধবী দু’জনেই। মোবাইল নম্বর এমনকি, ‘সোশ্যাল মিডিয়া’তেও ওই মহিলার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে অভিযোগ করেছেন খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের যুবক প্রণয় ঘোষ।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ করেন তিনি। বর্ধমান সাইবার থানাকেও জানানো হয়। পুলিশের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর ধরে প্রথমে ক্যুরিয়র সংস্থার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে খোঁজ চলবে ‘বিদেশিনী’রও।
প্রণয়বাবুর অভিযোগ, মাস তিনেক আগে ফেসবুকে ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তিনি নিজেকে আমেরিকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়ার পরে হোয়াটসঅ্যাপে কথা শুরু হয়। মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে ‘চ্যাট’ ও ছবি দেখে পুলিশের দাবি, তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই যুবকের দাবি, ইতমধ্যে তাঁকে আমেরিকা থেকে কিছু উপহার পাঠানোর কথা বলেন ওই মহিলা। তিনি নিতে রাজি না হলেও পাঠানো হয়। কিছু দিন পরে ওই ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মী পরিচয়ে এক জন তাঁকে ফোন করেন। জানানো হয়, উপহারের বাক্স চলে এসেছে। ছাড়াতে গেলে ৩৯,৫০০ টাকা ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়।
প্রণববাবুর দাবি, ওদের কথামতো টাকা জমে করে দেন তিনি। তার পর থেকে ‘বান্ধবী’র সঙ্গে ক্রমাগত ফোনে ও ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, কয়েকদিন পরে ফের ওই সংস্থা থেকে ফোন করে ৯২ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না চাইলে ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। ভয়ে টাকা দিয়ে দেন, তাঁর দাবি। এর পরেই প্রতারণার অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশের দাবি, বিভিন্ন মেসেজ দেখে তারা জেনেছে, জুতোর বাক্সে মোজায় ভরে ডলার পাঠানোর কথা বলেছিলেন ওই মহিলা। ক্যুরিয়র সংস্থার ব্যাপারটিও সাজানো, অনুমান পুলিশের।