এক হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে অন্যটিতে ইইজি-র যন্ত্র বিকল পড়ে রয়েছে। এর ফলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অনাময়ে এসে বিনা মূল্যে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না বলে জানান রোগীরা। বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায়।
শল্য ও অস্থি বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণ এক্স রে-র তুলনায় ডিজিট্যাল এক্সরে-তে ছবি অনেক স্পষ্ট হওয়ায় অনেক সময়েই তা করতে বলা রোগীদের। প্রতি দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগীর ডিজিট্যাল এক্স-রে হয় বলে জানা গিয়েছে। অথচ শুক্রবার রাত থেকে এক্স-রে’র যন্ত্রটি খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
বীরভূমের থুপসুড়া এলাকা থেকে আসা রোগীর আত্মীয় কাজল সাহানা বলেন, “সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। জিজ্ঞাসা করলে কেউ কোনও উত্তর দিচ্ছেন না।” পাশে দাঁড়ানো অন্য এক রোগীর আত্মীয় জানান, এই অবস্থায় অনন্ত একশো জনেরও বেশি রোগীকে বাইরে থেকে ডিজিট্যাল এক্স-রে করাতে হয়েছে।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দু-এক দিনের মধ্যেই সমস্যা মিটবে।
অন্য দিকে, হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রতি দিন গড়ে ২০-২২ জন রোগীর ইইজি হয় অনাময় হাসপাতালে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে যন্ত্র খারাপ পড়ে থাকায় আগেভাগে নাম লেখানো বহু রোগীকেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ওই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহার দাবি, ‘‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইইজি-র সমস্যা মিটে যাবে।’’