প্রথমে বাড়ি বাড়ি হুমকি, পরে রাস্তায় দলীয় কর্মীদের উপর তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। তার কয়েক ঘণ্টা পরে তৃণমূলও পাল্টা অভিযোগ করেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালের দুটি ঘটনায় খণ্ডঘোষের ওঁয়ারি গ্রামের। জেলা পুলিশের দাবি, দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করা হচ্ছে। এ দিনই আবার ভাতারের শিকড়তোর গ্রামে পতাকা টাঙানো নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তৃণমূলের এক জনকে গ্রেফতারও করেছে।
সিপিএমের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খণ্ডঘোষের বেশ কয়েকটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঢুকে হুমকি দিচ্ছে। দেওয়াল লিখন মুছে তা ‘দখল’ করা হচ্ছে। রবিবার সকালে ওঁয়ারি গ্রামে এ নিয়ে প্রতিবাদও করেন তাঁরা। তারপরেই কর্মীদের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে যাওয়ার সময় দু’জন কর্মীর উপর তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। খণ্ডঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগে সিরাজ নায়েক জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় সবুরহাটি ও ওঁয়াড়ি গ্রামে সিপিএমের হয়ে কাজ করেন। এ দিন দলের কর্মী শেখ সমীরের বাড়ি খোঁজ-খবর নিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের ইমরান মোল্লা, ফিরোজ মল্লিক, শেখ মইনুদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ জন লাঠি, চেন নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও তাঁর দাবি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁকে। সিপিএমের অভিযোগ, গত শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আরও দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো অভিযোগের প্রতিলিপিতে তাঁদের দাবি, এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করা অসম্ভব।
স্থানীয় সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষ বলে ন, “সাংগঠনিক ভাবে তৃণমূল পায়ের তলার মাটি হারিয়ে ফেলেছে। জেতার ক্ষমতা নেই ধরে নিয়েই আমাদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।’’ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ মইনুদ্দিন অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “রবিবার সকালে সজলধারা প্রকল্পের কর্মী শেখ ফজলুল গভীর নলকূপ চালাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় সিপিএমের লোকেরা হামলা চালায়। ওই কর্মীকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়।’’ পরে পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভাতারের শিকড়তোড় গ্রামে আবার পতাকা টাঙানো নিয়ে গোলমাল বেধেছে বিজেপি ও তৃণমূলের। পুলিশের দাবি, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। হুমায়ুন বড়াল নামে গ্রামের এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী নূরুল আমিন লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পতাকা লাগানোর সময় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা রড, লাঠি নিয়ে তাঁদের লোকজনকে মারধর করে। জখম অবস্থায় ভাতার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপির আক এক কর্মী আব্দুল সামাদ শেখের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ইনদাদুল বড়ালের আবার দাবি, ওই দিন দুপুরে প্রচারের জন্য পতাকা টাঙানো হচ্ছিল। তখন বিজেপিই হামলা করে। এক জন জখমও হন।