coronavirus

‘লকডাউন’ আরও তিন পুর এলাকায়

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৬ থেকে ২৮ জুলাই অর্থাৎ, রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কড়া ভাবে ‘লকডাউন’ জারি থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

গুসকরা বাজার—নিজস্ব চিত্র

বর্ধমান জেলা সদরের পরে, কাটোয়া, কালনা মেমারিতেও ‘লকডাউন’ জারি করল প্রশাসন। এ ছাড়া, বর্ধমান শহর লাগোয়া তিনটে গ্রাম পঞ্চায়েত, মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়া এলাকা ও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের তিনটে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ‘লকডাউন’ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৬ থেকে ২৮ জুলাই অর্থাৎ, রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কড়া ভাবে ‘লকডাউন’ জারি থাকবে। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “আদতে শনিবার থেকেই ওই সব এলাকায় লকডাউন শুরু হচ্ছে। চলবে বুধবার পর্যন্ত।’’
করোনায় মৃত এক জনেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এ দিন। মেমারির রসুলপুরের বাসিন্দা ছিলেন ওই প্রৌঢ়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হয়। এ দিন করোনা রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরে ‘লকডাউন’ চালু থাকলেও, রেশন দোকানের সঙ্গে মুদির দোকান, ফল ও আনাজ, মাছ, মাংস, সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খুলে রাখার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ ও পুরসভার কর্তাদের বলা হয়েছে, বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের ‘হোম ডেলিভারি’তে উৎসাহ দিতে। দোকানে কেউ এলে ‘মাস্ক’ ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বর্ধমান শহরে দোকানপাট খোলেনি বললেই চলে। রাস্তাঘাটও সুনসান ছিল। বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। প্রথম দিনের মতো শহরে ঢোকার ভিড়ও দেখা য়ায়নি। তবে দু’-একটি জায়গায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাঁশের ব্যারিকেডের ফাঁক দিয়ে চলাফেরা চলে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গলির ভিতরে কে ‘মাস্ক’ পরল না বা আচমকা বাঁশের ব্যারিকেড টপকে গেল, এটা আটকানো এক প্রকার অসম্ভব। মানুষকে সচেতন হতে হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নতুন করে ‘লকডাউন’ ঘোষণা হয়েছে যেখানে সেখানে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রাথমিক সংস্পর্শেও প্রচুর মানুষ এসেছেন। যাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিকমতো ‘ম্যাপিং’-এর আওতায় আনতে পারছেন না। ‘লকডাউন’ হলে তাঁদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। মেমারি ২ ব্লকে সাতগেছিয়া মোড়ে প্রায় বারোশো দোকান রয়েছে। গত কয়েক দিনে ওই ব্লকে ২০ জনের মতো করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে। তাঁদের প্রাথমিক-সংস্পর্শে থাকা মানুষজন নিয়মিত সাতগেছিয়া বাজারে আসেন। ওই বাজার বন্ধ করলে ভিড় কম হবে, সংক্রমণ কমবে আশা প্রশাসনের।
এ দিন পুর শহরগুলিতে প্রচার করে ‘লকডাউন’-এর নির্দেশ জানানো হয়। মেমারির এক পুলিশ আধিকারিক জানান, প্রতিটি এলাকা ধরে পুলিশ, পঞ্চায়েত ও পুরসভা প্রচার করছে। শহরে ঢোকার মুখে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। পুলিশের টহলও চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement