প্রতীকী ছবি।
বৃদ্ধা বেঁচে, অথচ খাতায়কলমে তাঁকে ‘মৃত’ দেখিয়ে রেশনের সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। উক্তা গ্রামের বাসিন্দা বছর আশির গীতারানি সরকারের অভিযোগ, দু’মাস ধরে রেশন মিলছে না। ছেলেকে নিয়ে পঞ্চায়েত থেকে খাদ্য দফতরের অফিস ছুটেও সমস্যার সমাধান হয়নি, দাবি তাঁর। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের উক্তা পঞ্চায়েতের উক্তা গ্রামের বাসিন্দা গীতারানি তাঁর ছেলে দীননাথ এবং এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেয়ের সঙ্গে বসবাস করেন। তাঁদের পিএইচএইচ রেশন কার্ড রয়েছে। দীননাথবাবুর অভিযোগ, অক্টোবরের গোড়ায় রেশনের জিনিসপত্র আনতে গেলে ডিলার আব্দুর রহমান মণ্ডল জানান, দফতর থেকে গীতারানিদেবীর জন্য বরাদ্দ জিনিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি মৃত। দীননাথবাবু বলেন, ‘‘মা যে মারা যাননি, সে কথা বারবার বলার পরেও ডিলার রেশনের জিনিস না দিয়ে খাদ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে ডিলারকে মায়ের রেশন কার্ড, আধার কার্ড ইত্যাদি দেওয়ার পরে, তিনি একটি ফর্ম এনে দেন। সেই ফর্ম পূরণ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে মা যে মারা যাননি, সে সংক্রান্ত শংসাপত্রও নেওয়া হয়েছে। মাকে নিয়ে গুসকরায় খাদ্য দফতরের অফিসেও গিয়েছি। কিন্তু এখনও রেশনের বরাদ্দ জিনিস মিলছে না। নতুন কার্ড করতে বলা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, খাদ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, নতুন কার্ড পেলেও তা পিএইচএইচ ক্যাটাগরির হবে না। পরিবর্তে আরকেএসওয়াই ক্যাটাগরির কার্ড মিলবে। কিন্তু এতে বরাদ্দ সামগ্রীর পরিমাণ কম, দাবি ওই পরিবারের।
আউশগ্রাম ১ ব্লক খাদ্য পরিদর্শক দেবাশিস সরকারের দাবি, “সার্ভারের সমস্যার জন্য এটা ঘটেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর জন্য যাতে ওই উপভোক্তা কোনও ভাবে বঞ্চিত না হন সেই জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলারকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ বর্তমানে পিএইচএইচ ক্যাটাগরির রেশন কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায় না বলেও জানান তিনি। রেশন ডিলার বলেন, ‘‘ওঁর নামে আসা বরাদ্দ দিচ্ছিলাম। পস মেশিেন দেখা যায়, ওঁর নামে বরাদ্দ নেই। খাদ্য দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উনি মৃত। তাই সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করেছি।’’ নির্দেশ অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দাবি তাঁর।