চকখাঁড়ুলিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল

তেষ্টা পেলে ছাত্ররা ছোটে আশ্রমে

‘কাকিমা এক গ্লাস জল’— স্কুলের পোশাক পরা এক পড়ুয়া হাঁপাতে হাঁপাতে কোনও রকমে জল গলায় ঢেলেই দে ছুট! ক্লাসের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে যে। স্কুলে জলের ব্যবস্থা না থাকায় এমনই ভাবে লাগোয়া বাড়িগুলিতে ছুটতে হয় কেতুগ্রামের চকখাঁড়ুলিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫০
Share:

বিকল নলকূপ। —নিজস্ব চিত্র।

‘কাকিমা এক গ্লাস জল’— স্কুলের পোশাক পরা এক পড়ুয়া হাঁপাতে হাঁপাতে কোনও রকমে জল গলায় ঢেলেই দে ছুট! ক্লাসের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে যে। স্কুলে জলের ব্যবস্থা না থাকায় এমনই ভাবে লাগোয়া বাড়িগুলিতে ছুটতে হয় কেতুগ্রামের চকখাঁড়ুলিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।

Advertisement

স্কুলটির বয়স প্রায় ৪৪ বছর। কিন্তু সেখানে জলের জন্য ভরসা একমাত্র নলকূপ। কিন্তু তা থেকেও মাস দেড়েক ধরে জল পড়ছে না বলে জানায় পড়ুয়ারা। এমন অবস্থায় জলের দরকার পড়লেই পাশের বাড়ি, আশ্রম বা কাঁদরে ছুটতে হয় বলে জানায় পড়ুয়ারা। প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ারা বর্ষা মাঝি, অনুপ মাঝিরা বলে, ‘‘স্কুলে তো জল নেই। তাই তেষ্টা পেলেই দৌড়তে হয়।’’ মিড ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা জানান, রান্নার জল প্রায় ১০০মিটার দূরের নলকূপ থেকে বয়ে আনতে হয়। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় রয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরাও। স্কুলের শিক্ষক শান্তনু রায়চৌধুরী শঙ্কা, ‘‘বর্ষায় কাঁদরে জল বেড়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। তা ছাড়া সেখানের জল পান করার মতোও না।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক হৃদয়রঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বছর চারেক আগে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য ব্লক অফিস, সর্বশিক্ষা মিশনে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নলকূপ সারানোর জন্য পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক অফিসে আবেদন করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

যদিও কেতুগ্রাম ২ব্লকের বিডিও অর্ণব সাহার আশ্বাস, ‘‘মহকুমাস্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নলকূপটি মেরামতযোগ্য হলে কিছু দিনের মধ্যেই তা সারানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement